ফুলবাড়ি, ২৭ ফেব্রুয়ারি: আজ বৃহস্পতিবার ফুলবাড়িতে পূর্ব-পশ্চিম মহা সড়কের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসবেন এক প্রতিনিধিদল। এই সমস্যা নিয়েও বৈঠক করবেন পর্যটনমন্ত্রীও। বৃহস্পতিবার জাতীয় সড়ক এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা ফুলবাড়ি ব্যারেজ ও বাকি জায়গা ঘুরে দেখবেন। ব্যারেজের মুখে ও বাজার এলাকায় কিছু দোকানপাট রয়েছে তা সরানো নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি বৈঠকও হবে শিলিগুড়িতে।
উল্লেখ্য পূর্ব পশ্চিম মহা সড়কের জন্য জমি দিয়ে ক্ষতিপূরণের মামলায় জিতলেন ফুলবাড়ির জমিদাররা। সেই সঙ্গে ঘরবাড়ি সরানো সংক্রান্ত আরবিট্রেশন মামলায় জমিদার’দের পক্ষে যায়। এবার এই ক্ষতিপূরণের মামলার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। যে কারণে আবারও পিছিয়ে গেল পূর্ব-পশ্চিম মহাসড়কের কাজ। শিলিগুড়ির কাছে ফুলবাড়ি দিয়ে চার লেনের মহাসড়ক চলে যাচ্ছে অসম হয়ে মায়ানমার সীমান্তে। এই রাজ্যে ঘোষপুকুর, ফুলবাড়ি, ধুপগুড়ি, ফালাকাটা, আলিপুরদুয়ার কোচবিহার কাজ চলছে। অথচ এই পথে বেশ কয়েক জায়গায় জমিজট রয়েছে। তার মধ্যে শিলিগুড়ি কাছে ফুলবাড়ি মহানন্দা ব্যারেজ থেকে আমাই দীঘি হয়ে জিয়াগঞ্জ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ নিয়ে সমস্যা। ফুলবাড়ি বাজার, গঠমাবাড়ি, আমাই দীঘি এলাকায় জমি দাতারা জমি দিতে ইচ্ছুক। কিন্তু দেখা গেছে, বাজারদরের তুলনায় অনেক কম দেওয়া হচ্ছে তাদের দাম। প্রায় ১৫০ জনের মধ্যে ৩০ শতাংশ জমিদাতা বাধ্যহয়ে ক্ষতিপূরণ পেলেও আরবিট্রেশনে গিয়েছেন তারা। বাকি ৭০ শতাংশ জমিদাতা বাজারদরে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলায় যান। তারা জানিয়েছেন আমরা সবাই জমি দিতে প্রস্তুত। কিন্তু যে দাম দেওয়া হচ্ছে তা বাজারদর নয়। অথচ ফুলবাড়ি খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। অনেক দাম জায়গার। ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া সেই দাম দিয়ে অন্যত্র জায়গা কিনতে পারবেন না। তাই তারা বাজারদরে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন। পাশাপাশি আর্বিট্রেশনে যান। এ মামলায় রায় দিয়েছে আদালত। তাতে জমিদাতাদের পক্ষে গেছে বলে জানাগেছে। বলা হয়েছে বাজারদরে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে। এবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবার মামলায় গেছে। ঘোষপুকুর থেকে ফাঁসিদেওয়া হয়ে মহানন্দা ব্যারেজ পর্যন্ত রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তারপরে গঠমাবাড়ির হয়ে কাজ বন্ধ। সড়কের নানা বিষয় নিয়ে এবার পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কলকাতার আধিকারিকরা। এদিন মৈনাকে বৈঠক হয়। বৈঠকে পর্যটন মন্ত্রী বলেন, এখানে বাসিন্দারা কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হন। এশিয়ান হাইওয়ে, হাউসিং ডিপার্টমেন্ট এ জমি দিয়েছিলেন।আর তারা ক্ষতির মুখে পড়তে চান না। তাই বাজার দরে যাতে দাম দেওয়া হয় সে বিষয়টি ভাবতে হবে। বিষয়টি যেহেতু হাইকোর্টে গিয়েছে তাই আমাদের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি যাতে মামলাগুলো তাড়াতাড়ি মিটিয়ে ফেলা হয়। এব্যাপারে সরকারি আইনজীবীদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। আমরা চাই রাস্তাটি তাড়াতাড়ি তৈরি হোক।
এর আগে ইসলামপুরে ১০ কিলোমিটার রাস্তায় সমস্যা ছিল। সেই ইসলামপুর বাইপাস হয়ে রোড গিয়েছে।সেখানে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে সেই কাজও সম্পন্ন হয়েছে। তবে ইলুয়াবাড়িতে একটি ধর্মীয় স্থান জায়গা দেওয়া হবে। এনিয়ে খুব শিগগিরই বৈঠক করা হবে।