জলপাইগুড়ি, ২৩ ফেব্রুয়ারিঃ শিক্ষক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সাহুডাঙ্গি রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রমের স্কুল থেকে এক শিক্ষককে বহিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে পরিচালন সমিতি। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিচাভকরা। কিন্তু শিক্ষক স্কুল ছাড়তে নারাজ। অভিভাবকরাও চাইছে ওই শিক্ষক বহাল থাকুক। অভিভাবকদের নিয়ে স্কুল পরিচালন সমিতি বৈঠক করলেও সমাধান হয়নি।
রাজগঞ্জের সাহুডাঙ্গি রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রমে প্রায় ৩২ বছর থেকে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে। বেসরকারি ওই স্কুলে নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। স্কুলের জন্মলগ্ন থেকে শিক্ষকতা করছেন সাহুডাঙ্গি এলাকার শশীচন্দ্র বর্মন। তিনি তৃণমূলের নেতা এবং বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। গত বুধবার স্কুল পরিচালন সমিতি শশীচন্দ্রকে স্বইচ্ছায় অবসর নেওয়ার জন্য চাপ দেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অভিভাবকদের একাংশ। তারা শিক্ষককে বহাল রাখার দাবিতে তারা সরব হন। শশীবাবু বলেন, আমি ওই স্কুলে প্রায় ৩২ বছর থেকে শিক্ষকতা করছি। আজীবন ওই স্কুলে শিক্ষকতা করতে চাই। পরিচালন সমিতির সদস্যরা আমার বাড়িতে গিয়ে স্বেচ্ছায় অবসর নিতে লিখিত বয়ানে স্বাক্ষর করতে বলেন। কিন্তু তাই ওই কাগজে স্বাক্ষর করিনি। আশ্রমের স্বামীজি বিনয়ানন্দ মহারাজ বলেন, শশী চন্দ্র বর্মন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। স্কুল ও পরীক্ষা চলাকালীন অনেকে ওই শিক্ষকের কাছে নানান সার্টিফিকেট নিতে আসেন। এতে পঠনপাঠন ব্যহত হয়। এছাড়া এই আশ্রম বেলুর মঠের গাইডলাইনে চলে। বেলুর মঠ থেকে নির্দেশিকা এসেছে কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে আশ্রমের স্কুলে শিক্ষকতা করতে পারবেন না। তাই বিষয়টি শিক্ষককে জানানো হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।