বাগডোগরা বিমানবন্দরে ১৬টি বিমান এক সময়ে ওঠা নামা করতে পারবে

গিরিশ মজুমদার: শিলিগুড়ি, ৯ জানুয়ারি
‌গুরুত্ব বাড়ছে বাগডোগরা বিমানবন্দরের। এই বিমানবন্দর সম্প্রসারণ হলেই জায়গা মিলবে ১৬টি বিমানের। এরপর এক সময়ে ওঠা নামা করতে পারবে এই বিমানগুলি। এই কাজ অনেকটাই অগ্রগতির পথে। এই বিমান বন্দরকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। সম্প্রসারণের কাজ হয়ে গেলে তখন প্রতি ঘন্টায় ৩৮০০ যাত্রী বিমান বন্দর ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে ৩৬ জোড়া বিমান ওঠানামা করছে। এখন ঘন্টায় ৪৫০ যাত্রী বিমান বন্দর ব্যবহার করেন। যাত্রী ওঠা নামা বৃদ্ধির হারে দেশে প্রথম হয়েছে এই বিমান বন্দর। গতবছর ২৯ লক্ষ যাত্রী এই এই বন্দর ব্যবহার করেছেন। এবার ৩০ লক্ষ যাত্রী ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের কথায়, বিমান বন্দর সম্প্রসারণ সম্পন্ন হলে আন্তর্জাতিক মানের শীর্ষ তালিকায় নাম চলে আসবে। বিমানবন্দর ডিরেক্টর পি সুব্রমণী বলেন, ‘‌রাজ্য সরকার থেকে আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা রয়েছে। খুব শীগ্রই আমরা অতিরিক্ত জমি পেয়ে যাব। আমাদের পক্ষ থেকে মাস্টার প্ল্যানও তৈরি করে রাখা হয়েছে। এখানে ইতিমধ্যে অ্যাপ্রোচ রোড করা হয়েছে। ডোমেস্টিক ইন্টারন্যাশনাল বিমান বন্দরের অনুরূপে এই বিমানবন্দর করা হয়েছে। জুড়েছে ইন্ট্রিগ্রেটেড টার্মিনাল বিল্ডিং, মাল্টিপারপাস কার পার্কিং, এয়ারক্রাফট পার্কিং।’‌
এবার বিমান বন্দরকে সম্পসারণ করা নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে আলোচনার পর বিমান বন্দর লাগোয়া একটি চা বাগান মিলে ১০৪ একর জমি নিচ্ছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার(‌এএআই)‌। প্রস্তাবিত ওই জমির যৌথ সমীক্ষা হয়ে গেছে। এই জমির ক্ষতিপূরণের জন্য দেশের মধ্যে প্রথমবার এএআই বোর্ড ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ তৈরি রেখেছে। রাজ্য সরকারের সহযোগিতা তাঁরা পাচ্ছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‌আমাদের পক্ষ থেকে এর আগেও বন্দর কর্তৃপক্ষকে জায়গা কিনে দেওয়া হয়েছে। এখানে নৈশকালীন বিমান ওঠানামার ব্যবস্থা হয়েছে। আরও ১০৪ একর জমি কিনে দেওয়া হবে, ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২৫ কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছে।’‌ বিমান বন্দর সূত্রের খবর, এখানে যাত্রী সংখ্যা গত বছর ২৯ লক্ষ ছুঁয়েছে। দেশের ১০৮টি বিমান বন্দরের মধ্যে লাভজনক বিমানবন্দর হিসেবে বাগডোগরা ২০ নম্বরে উঠে এসেছে। কিন্তু জমির অভাবে গত এক দশক থেকে আটকে সম্প্রসারণের কাজ। রয়েছে মাত্র ৫টি বিমান পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। কম সংখ্যক বিমান অথচ অতিরিক্ত পরিষেবা দিয়ে চলছে। ফলে যাত্রী ভোগান্তির অভিযোগ থাকছেই। অথচ এখানে সবচেয়ে আধুনিক ক্যাট-২ আইএলএস পরিষেবা বসানো হয়েছে। সপ্তাহে দু’দিন ব্যাঙ্কক-পারো’র মধ্যে যাতায়াতকারী আন্তর্জাতিক বিমানটিও বাগডোগরা হয়ে যায়। সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট অবধি বিমান ওড়ে। তা পরিবর্তন হয়ে ভোর ৬টা থেকে ১০টা অবধি বিমানবন্দর উড়বে। যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বাগডোগরা, বিমান বন্দর সম্পসারণ হলে আরও বেশি সংস্থা বিমান চালাবে বলে আশাবাদী বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য।