শিলিগুড়ি, ১৮ ডিসেম্বর: দুটি ঘটনার চার অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা হল শিলিগুড়িতে। বুধবার মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালতে এই সাজা ঘোষণা হয়। অভিযুক্তদের নাম মোঃ পারভেজ আলম, শেখ সাবির, শেখ শাহরুখ ও আব্দুল মজিদ সর্দার। প্রত্যেকের ১২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা করে জরিমানার কথা ঘোষণা করেন বিচারক। অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। আদালত সূত্রে জানাগেছে, তিন জনকে চরস পাচারের অভিযোগে ও একজন গাঁজা পাচারের অভিযোগে ২০১১ সালে নকশালবাড়ি ও ফুলবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের দোষ প্রমাণিত হয়েছে।
২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ইন্দো–নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি কাস্টমস গার্ডের কাছে একটি যাত্রীবাহী গাড়ি আটকানো হয়। কেন্দ্রীয় রাজস্ব ও গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা অভিযান চালিয়েছিলেন। সেই গাড়িতে ১০ জন যাত্রী ছিল। তাদের ব্যাগ তল্লাশি করা হলে দুজনের ব্যাগ থেকে ১০ কেজি করে ২০ কেজি হাসিস উদ্ধার হয়। এগুলো তারা নেপালের কাঁকড়ভিটা থেকে সংগ্রহ করে কলকাতা নিয়ে যাচ্ছিল৷ সেখান থেকে লন্ডন পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। অভিযুক্তদের নাম মহম্মদ পারভেজ ও শেখ সাবির। এদিকে এর কয়েকদিন আগে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে এনজেপি স্টেশন থেকে তিন ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় রাজস্ব ও গোয়েন্দা দপ্তর। তাদের মধ্যে ছিল শেখ শাহরুখ সহ আরও দুজন। তাদের জলপাইগুড়ি আদালতে আগেই সাজা ঘোষণা হয়ে গেছে। এদের মধ্যে হাসিস পাচারোর মুল পান্ডা শেখ শাহরুখ ও বাকি দুজনের সাথে ফের সাজা ঘোষণা হল শিলিগুড়ি আদালতে।
সরকার পক্ষের আইনজীবী রতন বনিক জানান, চরস পাচারের দায়ে অভিযুক্তরা আন্তর্জাতিক পাচারকারীদের সাথে যুক্ত। মুল পান্ডা শেখ শাহরুখ। এছাড়া এদিন গাঁজা পাচারের অভিযোগে এক ট্রাক চালকেরও ১২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড হল। তাকে ২০১১ সালের ৬ মার্চ ফুলবারি–ঘোষপুকুর বাইপাস এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় রাজস্ব ও গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরা একটি ট্রাকসহ গ্রেপ্তার করে। ট্রাকে অন্য সামগ্রির মধ্যে ছিল ওই গাঁজা। বিভিন্ন জায়গায় মালপত্র আনা–নেওয়ার কাজ করে। এই মালপত্রের আড়ালেই গাঁজা ও পাচারের কাজ করত এই ব্যক্তি। মালপত্রের নিচে ৮০ বস্তা গাঁজা উদ্ধার হয় যার ওজন প্রায় ১৮ কেজি। অভিযুক্তের নাম আবদুল মজিদ সর্দার। হাসিস ও গাঁজা পাচারের অভিযোগে ১২ জন সাক্ষ প্রমানের ভিত্তিতে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে। আইনজীবী রতন বনিক বলেন, প্রত্যেকের ১২ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।