ট্রেন বাতিল, বিমান ভাড়া বাড়ছে হু হু করে

গিরিশ মজুমদার: শিলিগুড়ি, ১৫ ডিসেম্বর: এনজেপি সহ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের সমস্ত ট্রেন বাতিল। রাস্তায় বাসও নামতে পারছে না। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি রাজ্যে। জ্বলছে ট্রেন। রাজ্যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। বহু জায়গায় উপরে ফেলা হয়েছে রেল লাইন। আগুন বহু ট্রেনে, স্টেশনে। এখনও উত্তপ্ত। মালদা থেকে দক্ষিণবঙ্গ উত্তপ্ত। কলকাতায় কোনো ট্রেন যাওয়ার পরিস্থিতি নেই। এই পরিস্থিতিতে তাই বাতিল করতে হয়েছে এনজেপি থেকে সমস্ত ট্রেন। দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেস, কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস সহ একাধিক ট্রেন বাতিল। এনজেপি’র মতো উত্তরবঙ্গের বহু স্টেশনে দুর্ভোগে যাত্রীরা। বাড়ছে তাই ক্ষোভ।
এই অবস্থায় দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম রয়েছে বিমান পরিষেবা। আপাতত জরুরিকালীন ভিত্তিতে বিমান পরিষেবাকেই বেছে নিতে হচ্ছে যাত্রীদের। পকেটে টাকা থাকুক আর নাই থাকুক দক্ষিণবঙ্গে যেতে হলে এখন বিমানের দিকেই ঝুঁকছেন নাগরিকরা। যে কারণে বাড়ছে বিমান ভাড়া। আগেও যেখানে ভাড়া ছিল ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে। এখন বাড়তে বাড়তে প্রায় ২০ হাজার টাকা গিয়ে পৌঁছেছে। মিনিটে মিনিটে যেন ভাড়া বাড়ছে। এভাবে ভাড়া বাড়তে বাড়তে কোথায় পৌঁছাবে বোঝা মুশকিল বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন বিমান সংস্থার কর্মীরা। শিলিগুড়ির বাগডোগরা থেকে দমদম কিংবা দেশের অন্য স্থানে যেতেও এখন বিমানই ভরসা। অসমের সঙ্গে যোগাযোগে বাগডোগরা থেকে গুয়াহাটি কিংবা বাগডোগরা দমদম যেতে বিমান ভাড়া বাড়তে বাড়তে আকাশ ছুঁয়ে ফেলল! এর আগে একবার ১৪-১৬ হাজারে পৌঁছেছিল টিকিটের দাম। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এয়ার এশিয়া, স্পাইসজেট, ভিস্তারা, ইন্ডিগো, গো ইয়ার সহ ৬ টি সংস্থা বিমান চালায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত বিনান ওঠানামা করে। সাধারণত যে ভাড়া ৩ হাজার টাকার মধ্যে থাকে রবিবার সকালে তা পৌঁছয় নানা সংস্থার হিসাবে ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, মাত্র কয়েকদিন আগেও ২-৪ হাজার মিলেছে কলকাতার টিকিট। এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরাও। ট্রেন বাতিল হওয়ায় তাঁরা বিমানের টিকিটের খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন, কোনও এয়ারলাইন্সে তা ১৫ হাজার টাকা তো কোথাও ২০ হাজার। সোমবার থেকে তা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে দুর্ভোগের পাশাপাশি টাকা গচ্ছা দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিকে ঘিরে।