শিলিগুড়ি, ৯ ডিসেম্বর: উত্তরবঙ্গের ছয় উত্তরবঙ্গের ৬ জন রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খুব শীঘ্র তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। রবিবার শিলিগুড়িতে এসে জানিয়ে গেলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন উত্তরকন্যায় সাত জেলার জেলা শাসক ও বিডিওদের সঙ্গে ধান প্রকৃয়াকরণ নিয়ে রিভিউ মিটিং করেন তিনি। খাদ্য দপ্তরের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে প্রতিমাসে শিলিগুড়ি এসে বৈঠক করবেন খোদ খাদ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রেশন দোকানগুলিতেও করা হবে সারপ্রাইজ ভিজিট।
রেশনের জালিয়াতি ধরতে সক্রিয় হয়েছে খাদ্য দপ্তর।
কলকাতায় পেয়াজ নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে সোমবার থেকে কলকাতার ৯৮৪টি রেশন দোকানে কার্ড পিছু এক কেজি করে পেয়াজ দেওয়া হবে ৫দিন। সেখানে সফল হলে দক্ষিনবঙ্গের ৮ জেলায় দেওয়ার পর উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও রেশনে পেয়াজ দেওয়া শুরু হবে।
এদিকে কৃষকবন্ধু প্রকল্পকে এবার খাদ্য দপ্তরের অন লাইন পোর্টালে যুক্ত করা হল। এই পোর্টালের মাধ্যমে কৃষকদের শুধুমাত্র এপিক নাম্বার আনলেই তারা ধান বিক্রি করতে পারবে। উত্তরবঙ্গ থেকে এখনও ৩ লক্ষ কৃষক তাদের নাম তালিকায় নিয়ে এসেছে। প্রায় ১৮ লক্ষ কৃষককে নোওয়া হবে। লক্ষমাত্রা ৫২ মেট্রিকটন চাল। প্রতিদিন তার রেজিষ্ট্রেশন হচ্ছে। এইজন্য আলাদা করে অফিসার বসানো হয়েছে। স্পেশাল ক্যাম্প করা হচ্ছে। জানুয়ারীর ৩১ তারিখ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। চাল কেনার ক্ষেত্রে খাদ্য দপ্তর কুইন্টাল প্রতি কৃষকদের ১৮১৫ টাকা করে দেবে। রাজ্য সরকার আরও অতিরিক্ত ২০ টাকা দিয়ে মোট ১৮৩৫ টাকা করে দেবে। এছাড়া চলতি আর্থিক বছরে কৃষকদের জমিতে নজরদারি চালাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরও কাজে লাগাচ্ছে রাজ্য। খাদ্যমন্ত্রী জানান, গতবছর ৯০০ স্বনির্ভর গোষ্ঠী কাজ করেছিল। এবছর ২২০০ নেওয়া হবে। ১৪০০ পেয়েছেন। তাদের কাজ হল তারা গ্রামের কৃষকদের ধান জড়ো করবে। জেলা শাসক বা বিডিওদের খবর দেবে। ওজন করে তা রাইসমিলে দেবে। কুইন্টাল প্রতি ৩১টাকা ২৫ পয়সা করে পাবে। কম্পিউটারে এনট্রি হয়ে গেলেই তারা সাত দিনের মধ্যে চেক পাবেন।