গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ

মালদা, ২৪ অক্টোবর: পঞ্চায়েত জুড়ে একাধিক দুর্নীতি সহ পঞ্চায়েত কর্মীরা অনিয়মিত পঞ্চায়েত অফিসে আসেন।‌ এই অভিযোগ ‌তুলে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার মানিকচক ব্লকের দক্ষিণচন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত জুড়ে সর্বত্রই দুর্নীতি হচ্ছে, এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। পাশাপাশি পঞ্চায়েতে আসছেন না প্রধান সহ পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মীরা। এতে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী বিক্ষোভে শামিল হন। অবিলম্বে প্রশাসন পদক্ষেপ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক, এই দাবি তোলেন এলাকাবাসীরা।

মালদার মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি পরিচালিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বন্যায় প্লাবিত ছিল গোটা ভূতনির সাথে দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। গত প্রায় দুই মাস জল যন্ত্রণায় ভুক্তভোগী হয়েছে এলাকার মানুষ। বর্তমানে জল নামলেও মানুষ নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। অভিযোগ, সেই সমস্ত সমস্যা নিয়ে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে এলেও দেখা মিলছে না সরকারি কর্মী এবং পঞ্চায়েত প্রধান‌ ও উপপ্রধানের। পঞ্চায়েতে কর্মীরা না থাকার কারণে প্রতিনিয়ত হতাশ  হয়ে ফিরতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। তাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত জুড়ে বর্তমানে দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ভুয়ো বিল করা হয়েছে। সরকারি টাকা তছরুপ করেছে পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে সরকারি কর্মীরা। মানুষ নূন্যতম পরিষেবার জন্য পঞ্চায়েতে আসলেও খালি হাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে। সামান্য কোনো কাজ করাতে হলে টাকা দিতে হচ্ছে। ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী গোটা অভিযোগ ব্লক প্রশাসনের কাছে জানাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

অভিযোগ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত কর্মী কল্পনা সাহা জানান, প্রধান তাকে নির্দেশ দিয়েছে ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের কাজের জন্য ৫০ টাকা করে নেওয়ার। সেই নির্দেশ মতো তিনি নিচ্ছেন। কি কারণে নির্দেশ দিয়েছেন সমস্তটা প্রধানই বলতে পারবে বলে তার দাবি।

যদিও গোটা বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান শক্তি মণ্ডলের সাথে ফোন মারফত বারংবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।