জলপাইগুড়ি, ২৪ জানুয়ারি: বিরিয়ানির অর্ডার দিয়ে তা না নেওয়ায় এক শিশুকে মারধর করে দাঁত ভেঙে দিলো দোকান কর্মীরা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি শহরে। এলাকার বাসিন্দারা ওই ঘটনার প্রতিবাদ করার পাশাপাশি দোকান কর্মীদের ব্যবহারের নিন্দা করেন। শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিরিয়ানি দোকানের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি শহরের প্রানকেন্দ্র কদমতলা মোড় এলাকায় এক রেস্টুরেন্টে বিরিয়ানির অর্ডার দেয় বছর দশেকের এক শিশু। অর্ডার দেওয়ার পরে সে বুঝতে পারে তার কাছে টাকা কম আছে। তাই দোকান কর্মীরা বিরিয়ানি দিলেও সে খেতে অস্বীকার করে। এরপর বাচ্চাটি দোকান ছেড়ে বেরিয়ে যায়। কর্মীরা পিছু ধাওয়া করে তাঁকে ধরে ফেলে। সেখানে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে তাঁর দাঁত ভেঙে দেয়।
শিশুটির চিৎকার শুনে পথ চলতি মানুষ ও স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা ছুটে আসেন। তারাই শিশুটিকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে আসে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ ও স্থানীয় এক মহিলা সমাজকর্মী। শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
দোকানের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
জলপাইগুড়ি চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সম্পাদিকা মধুমিতা দাস জানান, শিশুটির পরিবারের তেমন কেউ নেই। জলপাইগুড়িতেই তার বাড়ি। মাঝেমধ্যেই এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ায়। আমরা তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছি। পাশাপাশি কেন সে এভাবে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাও খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করব।
রোহিত মৈত্র নামে স্থানীয় এক যুবক বলেন, আমি মন্দিরের সামনে দিয়ে আসছিলাম। দেখি বাচ্চাটিকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হচ্ছে। এরপর আমরা সকলে মিলে আটকাই। জানতে পারি বাচ্চাটি বিরিয়ানির অর্ডার ক্যানসেল করায় এভাবে মারধর করেছে। অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা।
দোকান মালিক বিজন চন্দের দাবি, ঘটনার সময় তিনি দোকানে ছিলেননা। তবে এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনিও তাঁর কর্মীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।