জলপাইগুড়ি, ২৯ জুন: বিজেপির মহিলা প্রার্থীর প্রচারের ঝাণ্ডায় কে বা কারা আপত্তিকর জিনিস ঝুলিয়ে রাখে। এমন জিনিস তার নাম উচ্চারণ করতে সকলেই ইতস্তত বোধ করছেন। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে ( Rajganj )। খবর পেয়ে সেই ঝাণ্ডাটি খুলে নিয়ে যায় বেলাকোবা ফাঁড়ির পুলিশ। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিষয়টি জানিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজগঞ্জের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিপো লাইনের ৫১ নম্বর বুথের বিজেপির পঞ্চায়েত প্রার্থী অলোকা কুজুর। তার মা সারা কুজুর ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা। বাবা ইসমাইল কুজুর বিজেপির অঞ্চল সহ-সভাপতি। ২৩ বছরের যুবতী অলোকা কুজুর এবার প্রথম ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শিকারপুর চা বাগানের ডিপো লাইনের ওই যুবতীর প্রচারে এলাকায় অনেক দলীয় ঝান্ডা লাগানো হয়েছে। আজ সকালে স্থানীয়দের নজরে পড়ে সেখানে বিজেপির ঝাণ্ডায় কে বা কারা আপত্তিকর জিনিস ঝুলিয়ে রেখেছে। খবর পেয়ে পুলিশ সেই ঝান্ডাটি নিয়ে যায়।
বিজেপি প্রার্থী অলোকা কুজুর বলেন, দলীয় ঝাণ্ডায় যে আপত্তিকর জিনিস ঝুলিয়েছে সেটির নাম মুখে বলতে পারছিনা। আমার সন্দেহ এটা তৃণমূল কংগ্রেসের কাজ। একই অভিযোগ করেন প্রার্থীর বাবা ইসমাইল কুজুর।
আরো একধাপ এগিয়ে বিজেপির কিষাণ মোর্চার জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি নকুল দাসের অভিযোগ, শাসক দলের নেত্রী যদি শিবলিঙ্গে কনডম পড়াতে পারে, সেই দলের কর্মীরা ওই ঝাণ্ডায় কনডম ( condom ) ঝুলিয়েছে তা ধরেই নেওয়া যায়। কারণ তৃণমূল ছাড়া এধরনের জঘন্য কাজ কেউ করতে পারে না। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করলে দলের পক্ষ থেকে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নারায়ণ বসাক বলেন, বিজেপি কেন, যেকোনো দলের ঝাণ্ডাতে এধরনের জিনিস লাগানো আমরা সমর্থন করি না। বিজেপি আমাদের দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও আমার বিশ্বাস দলের কেউ এঘটনা করেনি।