এইচ.এন.ডেস্ক: পুলিশের সামনেই গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। কে এই আতিক?
১৯৬২ সালে প্রয়াগরাজে জন্ম হয় আতিক আহমেদের। তাঁর বাবা ঘোড়ার গাড়ি চালাতেন। আতিক পড়াশোনা বেশি দূর করতে পারেনি। প্রবেশ করে অপরাধ জগতে। ট্রেন থেকে কয়লা চুরি সহ একাধিক বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৭৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠ। তৈরি করে গ্যাং। ১৯৮৯ সালে রাজনীতি শুরু করেন। বাহুবলী আতিক তখন এলাহাবাদ অঞ্চলে একচ্ছত্র অধিপতি। নির্দল প্রার্থী হিসেবে এলাহাবাদ পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন।
অপরাধ জগতের পর রাজনীতিতে আতিকের দাদাগিরি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ১৯৯৫ সালে। সেই সময় উত্তরপ্রদেশে বিএসপির সাহায্য নিয়ে রাজ্য শাসন করছিল সমাজবাদী পার্টি। অভিযোগ উঠেছিল, আতিকের নির্দেশেই মায়াবতীকে শারীরিক হেনস্থাও করা হয়েছিল। ২০০৪ সালে সাংসদ নির্বাচিত হনআতিক আহমেদ। আতিকের ছেড়ে আসা এলাহাবাদ পশ্চিম বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হন বিএসপি নেতা রাজু পাল। ২০০৫ সালে খুন হন বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল। সেই খুনেও আতিকের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলেও তিন বছরের মাথায় জামিন পান। ওই রাজু পাল খুনের ঘটনা ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় গ্যাংস্টারকে। ওই বিধায়ককে খুনের মামলায় প্রধান সাক্ষী ছিলেন উমেশ পাল। আতিক চেয়েছিলেন, উমেশ এই মামলা থেকে সরে যাক। কিন্তু সরে না দাঁড়ানোয়, ২০০৬ সালে আতিক ও তাঁর সঙ্গীরা উমেশকে অপহরণ করে। বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল খুনে মূল প্রত্যক্ষদর্শী উমেশ পাল অপহরণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদের। তার বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ সহ প্রচুর ফৌজদারী মামলা রয়েছে।
সেই উমেশ পালকে খুনের অভিযোগ ওঠে আতিকের ছেলে আসাদ আহমেদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার পুলিশের এনকাউন্টারে খতম হয় আসাদ ও তার সহকারী গুলামকে।
শনিবার আতিক এবং আশরফকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। হাসপাতালে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেসময় আচমকাই তাঁর মাথা লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ তিন দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করেছে।