এবছর তিনবার তুষারপাত হল দার্জিলিংয়ে

শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, ২০ মার্চ: জ্যাকেট কম্বল তুলে রেখেছিলেন। আবার নামাচ্ছেন। শীত যেন নেমে এল। এদিকে শনিবার শেষ রাতেই হোটেলে আর পর্যটন সংস্থার কাছে খবর আসে সান্দাকফুতে তুষারপাত শুরু হয়েছে। তাই ভোর রাত থেকেই প্রস্তুতি নিতে থাকেন পর্যটকেরা। দার্জিলিং থেকে সান্দাকফুর উদ্দেশ্যে শেষে অন্তত ২০ টি গাড়ি রওনা হয়। তার মধ্যে বেশিরভাগ গাড়ি শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। পর্যটকরা আটকে যেতে পারেন সেই আশঙ্কায় পর্যটকদের বেশিরভাগ গাড়ি টুংলুং পর্যন্ত যায়।  সান্দাকফুর আশেপাশ থেকেও ফিরিয়ে আনা হয় পর্যটকদের। তবে পর্যটকরা ফালুট, মানেভঞ্জন, চিত্রে সহ দার্জিলিং সংলগ্ন এলাকাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি তুষারপাতের সঙ্গে দিন কাটিয়েছেন।

হটাৎ করেই পাহাড়ের আবহাওয়া বদলে যায়। শনিবার রাতভর প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। রবিবার সকাল ১১ টা পর্যন্ত দার্জিলিং শহর এলাকাতেও বৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে প্রায় ছয় থেকে সাত ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারের চাদরে ঢেকে যায়। সবচেয়ে বেশি তুষারপাত হয়েছে সান্দাকফুতে। পাহাড় যেন এখন সাদা। অনেক পর্যটক আনন্দ করতে গিয়েও আশঙ্কার কথা ভেবে ফিরে আসেন। তাদের মধ্যে অনেক পর্যটককে সান্দাকফু থেকে নামিয়ে আনা হয়। সান্দাকফু সিঙ্গালীলা ল্যান্ড রোভার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চন্দন প্রধান জানান, আমাদের সদস্যরা গাইড করে পর্যটকদের নামিয়ে আনেন। 

পাহাড়ে এখনো ৫০ শতাংশ পর্যটক রয়েছেন। তাদের বাড়তি পাওনা পাহাড় তুষার দেখা। দার্জিলিং এর হোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজয় খান্না বলেন, এখনো যে সমস্ত পর্যটক রয়েছেন তারা কেউ কেউ থেকে যেতে চাইছেন। নতুন করেও পর্যটক আসতে চাইছেন। এ সময় হঠাৎ করে পাহাড়ের এই ছবিতে ঠান্ডা অনেকটাই নেমে এসেছে। অনেকে ভেবেছিলেন জ্যাকেট ছেড়ে দেবেন আবার জ্যাকেট পড়তে শুরু করেছেন তারা। সেইসঙ্গে কয়লা, হট ব্যাগ ও জুড়েছে ঘরে ঘরে। এবছরে দার্জিলিংযে ৩ বড় তুষারপাত হয়। দুবার ফেব্রুয়ারিতে একবার মার্চে।

আবহাওয়া পরিবর্তনে আবার সমতলে শীত পড়তে শুরু করেছে।