রাখে হরি মারে কে? সব হারিয়ে বলছেন শম্পা

মালদা, ১১ মার্চ: বাড়ির সমস্ত সরঞ্জাম বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছারখার। কিছুই বাঁচে নি বাড়ির। বাঁচার মধ্যে শুধু তিন সন্তান ও এক স্বামী। কথায় আছে বাঁচায় হরি তো মারে কে?
এমনই আর্তনাদ শোনা গেলো শম্পা বেগমের মুখে। জানা গেছে শবেবরাতের রাতে গ্যাস সিলিন্ডার খুলে উনুন ধরাতে গিয়ে ঘটে এই অগ্নিকাণ্ড।
সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে। তড়িঘড়ি করে নিজের তিন ঘুমন্ত সন্তানকে নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন শম্পা বেগম। নিজের সজল চোখে দেখতে থাকেন সঞ্চিত অর্থ থেকে শুরু করে সমস্ত দ্রব্য সামগ্রী আগুনে ভস্মীভূত হতে।
কান্নায় লুটিয়ে পড়েন শম্পা বেগম। তড়িঘড়ি দমকলকে খবর দেওয়া হয়। দমকল আসে। প্রতিবেশীরা সাহায্য ও করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। বাড়ির গবাদি পশু থেকে শুরু করে ঘুমানোর নতুন খাট, আলমারি, মোটর সাইকেল, টিভি, খাদ্য সামগ্রী, জামা কাপড় , জমির দলিল সমস্ত কিছু আগুনে পুড়ে ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। এমনকি বাড়ি করার জন্য ব্যাংক থেকে তুলে আনা নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ও শম্পা বেগমের দেড় ভরী সোনার গহনা ও পুড়ে যায়।মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে মালদার ইংলিশ বাজার ব্লকের শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদিয়া এলাকার মির রাজা আলী ও তাঁর স্ত্রী শম্পা বেগমের মাথায়।
এখন কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তবে ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন শোভানগর অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্ব। ব্যাক্তিগত ও সরকারী সাহায্য নিয়ে উপস্থিত হলেন শম্পা বেগমের পরিবারের পাশে বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা তৃণমূল নেতা আনোয়ারুল হক ওরফে ভোলা দা, ইংলিশ বাজার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল সিদ্দিকী, শোভানগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ওমর ফারুক, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মোহাম্মদ জহিরউদ্দিন আনসারী ওরফে রিংকু দা সহ তৃণমূল নেতৃত্ব।সকলকে পাশে পেয়ে কিছুটা আশ্বস্ত এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।