ডেস্ক নিউজ, ৭ মার্চ: খুব বেশি দূরে নয় ঝাড়খণ্ড। পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া এই রাজ্য। জানাগেছে, রাজ্যটিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এইচ৫এন১ ভাইরাস তথা বার্ড ফ্লু। এখন পর্যন্ত এতে কোনো মানুষ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া না গেলেও তার ভয়ে হাঁস-মুরগি খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে প্রতিবেশি রাজ্যে বার্ড ফ্লু হওয়ায় নজর রয়েছে এই রাজ্যেও। পড়শি রাজ্যে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ বাংলার জন্য চিন্তার কারণ। রাজ্যের প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, আমরা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছি। ওই এলাকা থেকে ডিম, চিকেন যাতে রাজ্যে ঢুকতে না পারে সেদিকে নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে এই ভয়কে খারাপ বলতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, কিছু দিন মুরগির মাংস না খেলে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। বরং রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
ঝাড়খণ্ড সরকার বোকারো জেলার একটি সরকারি পোল্ট্রিতে বার্ড ফ্লুর আক্রান্তর ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এর পরই সেরাজ্যের ২৪টি জেলা জুড়ে বার্ড ফ্লু নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সকল জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
ঝাড়খণ্ডের পশুপালন পরিচালক চন্দন কুমার বলেছেন, ভোপালে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিউরিটি অ্যানিমাল ডিজিজেস-এ পাঠানো নমুনায় বার্ড ফ্লু নামে পরিচিত এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা H5N1 পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা নিশ্চিত হওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারিত নির্দেশিকা কার্যকর করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলায় বার্ড ফ্লু শনাক্তের জেরে প্রায় চার হাজার হাঁস-মুরগি মেরে ফেলা হয়। এরপর রাজ্যের রাজধানী রনচিতেও এর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
সংক্রমিত এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে সব ধরনের পোষা পাখি মেরে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা এলাকাগুলোকে রাখা হয়েছে কড়া নজরদারিতে।
তবে এতে আক্রান্ত মুরগি বা পাখি সঠিকভাবে রান্না করলে ভাইরাস মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে অন্য উপায়ে সেটি সংক্রমিত পাখি থেকে মানুষের মধ্যে পৌঁছাতে পারে।
তথ্য বলছে ২০২০ সাল থেকে টানা তৃতীয় বছর ঝাড়খণ্ডে পাখির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলো। তবে যতবারই এ ধরনের খবর ছড়ায়, ততবারই স্থানীয় লোকজন হাঁস, মুরগি ও ডিম খাওয়া কমিয়ে দেয়। যদিও এই ভয়কে ‘ভিত্তিহীন’ হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে, তবু এ ধরনের সতর্কতার প্রশংসা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে প্রতিবেশি রাজ্যে বার্ড ফ্লু হওয়ায় নজর রয়েছে এই রাজ্যেও। পড়শি রাজ্যে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ বাংলার জন্য চিন্তার কারণ। রাজ্যের প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, আমরা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছি। ওই এলাকা থেকে ডিম, চিকেন যাতে রাজ্যে ঢুকতে না পারে সেদিকে নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।