এইচ এন ডেস্ক: ছোট ছোট কম্পন তথা ভূমিকম্প এখন যেন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। প্রায় দিনে কাঁপছে কোনো না কোনো এলাকা। উত্তরবঙ্গে ভূমিকম্প প্রবন এলাকা। মাঝে মধ্যে কে পড়ছে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল , ভুটান , বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রতিবেশী রাজ্য মেঘালয় সিকিম প্রায় প্রায় কাঁপছে।
এদিকে দু’দিনের ব্যবধানে ফের কম্পন ধরলো উত্তরাখণ্ডে।
মাঝরাতে থরথর করে কেঁপে উঠল উত্তরকাশীর মাটি। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
জানাগেছে, রবিবার রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয় উত্তরকাশীতে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ২.৫। কম্পনের মাত্রা তীব্র না হওয়ায়, ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি এই জেলা। তবে কয়েকদিনের ব্যবধানে ফের ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। এতে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডের পৌরি গাঢ়ওয়াল জেলাতেও ভূমিকম্প হয়। কম্পনের মাত্রা ছিল ২.৪। গত বছর ডিসেম্বরেও উত্তরকাশীতে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.১।
মাঝেমধ্যে ভূমিকম্পে কাঁপে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকা। সেই কম্পন অনুভূত হয় দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বেশ কিছু অঞ্চলেও।
এদিকে সদ্য ভূমিকম্পের প্রভাব পড়ে যোশিমঠেও। উত্তরকাশী এবং যোশিমঠ উভয়ই উত্তরাখণ্ডের গাড়ওয়াল অঞ্চলে অবস্থিত। উত্তরকাশী থেকে যোশিমঠের দূরত্ব ২৮৫ কিলোমিটার। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভূমিকম্পের তীব্রতা বাড়লে বড় বিপর্যয় ঘটবে উত্তরাখণ্ডের এই এলাকায়। ইতিমধ্যে যোশিমঠের ৭০০-এর বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় ভূমিকম্প হলে হুড়মুড়িয়ে তাসের ঘরের মতো অধিকাংশ বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আর এদিকে ভূমিকম্প নিয়ে চিন্তায় সকলে। পাহাড় নিয়েও রয়েছে চিন্তায়। এ অংশে যেহেতু ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা তাই এই উদ্বেগ বেড়েছে। তুরস্ক সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর এবং সে সতর্কতা ও মূল্যায়ন করার সময় এসেছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।