অবৈধভাবে রেলের টিকিট বিক্রির অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইবি

শিলিগুড়ি, ৬ সেপ্টেম্বর: অবৈধভাবে রেলের টিকিট বিক্রির অভিযোগে শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ীতে হানা দিল সিআইবি। রেলের এই ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ ফুলবাড়ীর বাইপাস মোড় লাগোয়া একটি ট্রাভেল কোম্পানিতে অভিযান চালায়।সেখানে দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ ছিল সরকারি অনুমোদন ছাড়াই বিক্রি করছে রেলের টিকিট। এভাবে টিকিট বিক্রি আইনত অপরাধ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে ক্রেতা সাজে সিআইবির আধিকারিকরা যান। এর পর রীতিমতো তাদের কাছেও টিকিট বিক্রি করে দেয় ওই ট্যুর ট্রাভেল এজেন্সির কর্তা তানভীর আলম। তাতেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এখান থেকে রেলের টিকিট অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে। তারপর থেকেই নজরদারি চালাতে থাকে সিআইবির কর্তারা।
এদিন নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশের সহায়তা নিয়ে শেষে আর পি এফ হাজির হয় ফুলবাড়ী বাইপাস মোড়ের নির্দিষ্ট ইকরা ট্যুর এন্ড ট্রাভেলসে। সেখানে অভিযান চালায় তারা। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিআইবির এনজেপির সাব ইন্সপেক্টর বিশাল কুমার। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে সেখানে নানা নথিপত্র, ব্যাংক একাউন্ট কম্পিউটার খতিয়ে দেখা হয়। শেষে প্রমাণ মিলে শতশত টিকিট বিক্রির। ফুলবাড়ি বাইপাস এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এই এজেন্সি খুলে বসেছেন তানভীর আলম। তার আদি বাড়ি ইসলামপুরে বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ির শান্তিপাড়া এলাকায় থাকেন বলে জানা গেছে। তার এই সেন্টারে সাইনবোর্ডে সরকারি অনুমোদিত লেখাও রয়েছে। কিন্তু তারপরও কিভাবে অবৈধভাবে রেলের টিকিট বিক্রি করছিলেন। তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সিআইবির এক কর্তা জানান নিজের নামে ওই ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট খুলে এভাবে সে অবৈধভাবে টিকিট বুকিং চালাচ্ছিল। এটা আইনের চোখে অপরাধ। এদিন শীর্ষে ওই টিকিট বুকিং কাউন্টার থেকে তানভীর আলমকে আটক করে সিআইবির কর্তারা। পাশাপাশি তার নথিপত্র এবং কম্পিউটারও এবং কিছু টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এবার গোটা ঘটনায় তদন্ত করে দেখছে পুলিশ ও সিআইবি। অভিযান চলাকালীন ফুলবাড়ী এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য শুরু হয়। রাজ্যজুড়ে যেখানে এডি সিবিআই আর সিআইডির অভিযান নিয়ে তোলপাড় সেখানে এই অভিযান নিয়েও শোরগোল পড়ে যায়।