ব্যারেজের গেট খুলতেই মহানন্দায় ভিড় মৎস্য শিকারীদের

ফুলবাড়ি, ২৮ নভেম্বর: ব্যারেজের গেট খুলতেই হু হু করে নেমে গেল জল। বাংলাদেশের দিকে চলে গেল সমস্ত জল। আর যে কারণে লাফিয়ে উঠল লাখো লাখো মাছ। সেই মাছ ধরতে হুড়োহুড়ি পড়ে গেল শিলিগুড়ি থেকে ফুলবাড়ি পর্যন্ত মহানন্দা নদীতে।বৃহস্পতিবার নদীর দুই পাড়ে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করে দেখলেন। ঠিক তত সংখ্যক লোক নামলেন নদীতে। ধরলেন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। মৎস্য শিকারীদের মাছ ধরায় মন ভরে গেছে এদিন। একের পর এক আমেরিকান রুই, বোয়াল, চিতল, বাদ যায়নি চিংড়ি কিংবা পুঁটি। এমন দৃশ্য দেখতে আর ধরতে রীতিমতো হুড়াহুড়ি পড়ে গেল।
কদিন থেকে শোনা যাচ্ছিল ফুলবাড়ি মহানন্দা নদীর সমস্ত গেট খুলে দেওয়া হবে। কারণ কদিন আগেই নদীতে বাঁধের সংস্কার করতে গিয়ে একটি বড় যন্ত্রাংশ নদীতে পড়ে ডুবে যায়। সেটি তুলতে গিয়েই খুলে দিতে হয় ব্যারেজের সমস্ত গেট। কারণ জলের তলে ডুবেছিল সেই বৃহৎ যন্ত্রাংশটি। এদিন গেট খুলে দেওয়ায় জল শুকিয়ে যায় ব্যারেজের জলাধারে। আর তখনই ভেসে উঠে মাছ। দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত সেই মাছ ধরলেন লোকজন। মাছ ধরার খবর পেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন মৎস্য শিকারিরা। শুধু জাল দিয়ে নয়, রীতিমতো হাত দিয়ে ধরে ফেললেন বহু মাছ। আর এই মাছ ধরা নেই এখন মোড়ে মোড়ে আলোচনা। বাজারে কম দামে বিক্রি হয়েছে এই লোকাল মাছ। মহানন্দা ব্যারেজ ডিভিশনের মেকানিক্যাল বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, ‘এই যন্ত্রাংশটি তুলতে হয়েছে তাই এদিন সমস্ত গেট খুলে দিতে হয়েছে। তার পাশাপাশি তিস্তা ক্যানেলেট গেট বন্ধ করে দিতে হয়েছে। যাতে নদীতে জল না আসে।’ এদিকে নদীর গেট খোলা এবং বন্ধ করার ফলে জনসাস্থ কারিগরি দপ্তর পাম্পেও জল তুলতে সমস্যা হয়েছে। কিন্তু সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে এদিনের মাছ ধরার আনন্দ।