অসহায়দের বিনামূল্যে টিউশন পড়িয়ে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম

রাজগঞ্জ, ১৫ জুলাইঃ অসহায় পরিবারের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার আলো দেখিয়ে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে জায়গা পেয়েছেন রাজগঞ্জের মেয়ে লিপি রায় । রাজগঞ্জ ব্লকের পানিকৌরি গ্রাম পঞ্চায়েতের চান্দরবাড়ি এলাকার নীলকান্ত রায়ের বড় মেয়ে লিপি রায় শিলিগুড়ি হিন্দি হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন । অসহায় বাচ্চাদের কথা ভেবে ২০১৮ সালে শহরের সন্তোষীনগরে শিক্ষালয় নামে একটি অবৈতনিক স্কুল চালান । বর্তমানে সেখানে তিন শতাধিক ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা করছে । তাঁর ওই মহত কাজের জন্য জায়গা পেয়েছেন ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে । মঙ্গলবার তাঁর কাছে সেই নথি এসে পৌঁছেছে ।
লিপির কথায়, রাজগঞ্জ মহেন্দ্রনাথ হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং রাজগঞ্জ কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর ২০১৭ সালে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয় নিয়ে মাস্টার্স করেন । ২০১৮ সালে শিলিগুড়ি হিন্দি হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন । সেখানেই কিছু অসহায় ছেলেমেয়েদের বিনামূল্যে টিউশন পড়াতেন । সেই সূত্রে তাদের বস্তিতে গিয়ে দেখেন শিক্ষা এবং পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবে অনেক বাচ্চা শ্রমিক বা  অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে । ওই অসহায় বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য একটি স্কুল করার ইচ্ছা জাগে । স্থানীয় কাউন্সিলারের সহযোগিতায় শিলিগুড়ি্র সন্তোষীনগরে শিক্ষালয় নামে একটি অবৈতনিক স্কুল চালু করেন । ওই সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা ছেড়ে দিলেও তাঁর শিক্ষালয় স্কুল চালিয়ে যাচ্ছেন । সেখানে বিনামূল্যে পড়ানোর পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য সপ্তাহ শেষে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া ছাড়াও বস্ত্র এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থাও করেন । ওই কাজের সুবাদে পুলিশ এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয় । তাঁর ওই মহত কাজের জন্য ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে জায়গা পেয়েছেন । তিনি বলেন, ছাত্র জীবন থেকেই অসহায় বাচ্চাদের বিনামূল্যে টিউশন পড়িয়েছেন । ২০১৩ সালে জলপাইগুড়ি শহরের অনুভব হোমের আবাসিকদের পড়াতেন । তাঁর এই প্রচেষ্টা সারা জীবন চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে বলে লিপি জানিয়েছেন ।