শিলিগুড়ি, ৮ জুন: করোনাররিপোর্ট এবার মিলবে ৭২ ঘন্টাতেই। সর্বোচ্চ এই সময়ের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া আক্রান্ত কিনা। তবে নেগেটিভ হলে তার আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে উপসর্গহীন কিংবা শারীরিকভাবে সুস্থ করোনা আক্রান্তদের আলাদাভাবে রাখা হবে। এজন্য দেখা হচ্ছে ভিন্ন হাসপাতাল। পাশাপাশি করোনার পরীক্ষা বাড়াতে আরেকটি মেডিক্যালের ভি আর ডি ল্যাবে আরেকটি আরটিপিসিআর মেশিন আসবে।
সোমবার উত্তরকন্যায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে একথা জানান জলপাইগুড়ি ডিভিশনাল কমিশনার অজিত রঞ্জন বর্ধন। বৈঠকে উত্তরবঙ্গের জন্য নিযুক্ত ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায়, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্যবলম, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সুপার ডাঃ কৌশিক সমাজদার, দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রলয় আচার্য ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ছিলেন।
তারা মতামত দেন কি করে করোনা পরীক্ষার হার বাড়ানো যায়। যে সমস্ত স্যাম্পল এখন পর্যন্ত আটকে রয়েছে সেগুলো তাড়াতাড়ি রিপোর্ট করে দেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। জানা গেছে এক সঙ্গে বিভিন্ন জেলায় ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্যাম্পল কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ভিআরডি ল্যাবে। যে কারণে অনেকদিন পর্যন্ত রিপোর্ট দেওয়া যায়নি। আটকে রয়েছে পরীক্ষা। এবার সেই সমস্ত স্যাম্পলের রিপোর্ট পরীক্ষা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০০০ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে আরও বাকি ৩০০০ আটকে থাকা রিপোর্ট মিলে যাবে। এরপর থেকে আর রিপোর্ট আটকে রাখা হবে না।
বৈঠক সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রতিদিন এখানে ৮৫০ টি করোনার স্যাম্পল পরীক্ষা হবে। তার মধ্যে কোচবিহারের ২০০ জলপাইগুড়ি ২০০ দার্জিলিংয়ের ১৮০ আলিপুরদুয়ারের ১৫০ কালিম্পং ৭০ ও ইসলামপুরের ৫০ পরীক্ষা হবে। জেলাশাসক বলেন আমরা কোয়ারেন্টিন সেন্টার বাড়ানোর চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ৭২ টি ঠিক হয়েছে। সেখানে ভিনরাজ্য ফেরতদের রাখা হবে। এদিকে ডিভিশনাল কমিশনার বলেন, অনেক রোগী রয়েছে যাদের কোনো লক্ষণ নেই তাদেরকে নজরদারি ও সাধারন ভালো খাবার দিলে সেরে উঠতে পারেন। এজন্য আলাদা করে হাসপাতাল খোঁজা হচ্ছে। সেই সমস্ত জায়গায় রেখে সুস্থ করে তাদেরকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।