হাতি তাড়াতে রাত পাহারায় সেজেছে বিশেষ দল

রাজগঞ্জ, ২৭ নভেম্বর: লোকালয় প্রতিদিনের ঢুকে পড়ছে হাতির দল। ফসলের মরসুম চলছে। ফলে দল বেঁধে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে হাতি। হানা দিচ্ছে চাষের জমিতে, ধানের জমিতে, সবজি ক্ষেতে।ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে হাতির দলগুলি কখনও চা বাগান কখনও জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থান করছে। শিলিগুড়ির খুব কাছাকাছি রাজগঞ্জ এলাকাতেও রয়েছে তেমন ১৫ টি হাতির দল। এর আগেই বানারহাট এর গেন্দাপাড়া চা বাগান লাগোয়া গুয়েতেমালা জঙ্গলে হাতি আশ্রয় নিয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে দেবপাড়া চা বাগানে হাতির দলকে দেখা যায়।কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় ওই দলটিকে জঙ্গলে পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন বনকর্মীরা। কিন্তু রাতে যখন ঢুকে পড়ছে হাতির দলটি এতে একদিকে যেমন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তেমনি ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। প্রচুর ফসল নষ্ট করছে হাতির দল। এভাবে হাতির দল চলে আসার পেছনে দায়ী করা হচ্ছে জঙ্গল লাগোয়া ঘনবসতি সড়ক-রেলপথ চা-বাগানের প্রশস্তি এবং জঙ্গলে খাবারের অভাব। কখনও তাই দলবেঁধে আবার দলছুট হয়েও হাতির ঢুকে পড়ে।
সোমবার গাজলডোবা ভোরের আলো প্রকল্পেতে ঢুকে পড়ে একটি হাতি ওই হাতি তাড়াতে গিয়ে আবার বিপত্তি ঘটে। লেগে যায় চকলেটবম থেকে ভোরের আলো প্রকল্পের মধ্যে গাছে আগুন। এই সময়ে হাতির আনাগোনা বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন মনে বনকর্মীরা। এখনো বৈকুন্ঠপুর জঙ্গল থেকে আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে ১৫টি হাতির দল।বেলাকোবা, মিলন পল্লী, টাকিমারি প্রভৃতি এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নজরদারি চালাতে বিশেষ টিম গঠন করেছেন উত্তরবঙ্গের স্পেশাল টাস্কফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত। তিনি এই টিম নিয়ে রাত পাহারা দিচ্ছেন। এখন হাতির উপর নজরদারি এবং সময়মতো হাতিকে জঙ্গলে ফেরাতেই এই টিম কাজ করবে। সারারাত বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে তারা দেখবে হাতির গতিবিধি। বিশেষ করে এই মুহূর্তে ১৫টি হাতির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে জানান সঞ্জয়বাবু।