রাজগঞ্জ, ২৬ নভেম্বর: হাতি তাড়াতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ড গাজলডোবা ভোরের আলোয়। রীতিমত হুলুস্থুল কাণ্ড অল্পের জন্য রক্ষা পেল মুখ্যমন্ত্রীর বাংলো। এই ঘটনায় ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। জানা গেছে, সোমবার রাতে ভোরের আলোতে ঢুকে পড়ে একটি হাতি। পাশেই বৈকন্ঠপুর জঙ্গল। সেখান থেকে গুটি গুটি পায় হাতিটি চলে আসে তিস্তা বাঁধ সংলগ্ন ওই মেগা পর্যটন কেন্দ্রে। প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে এখানে। হাতিতে নষ্ট করতে পারে বলে ভোরের আলো থেকে খবর আসে প্রশাসনিক পর্যায়ে। সেখান থেকে খবর দেওয়া হয় বনবিভাগে। ইতিমধ্যে জেনে যায় মিলন পল্লী ফাঁড়ির পুলিশ। স্থানীয়রাও হাতি এলাকায় ঢুকেছে জেনে যান। তারপর বনবিভাগের থেকে কর্মীরা পৌঁছান ঘটনাস্থলে। শুরু হয়ে যায় হাতি তাড়ানোর চেষ্টা। তাদের নিয়মেই হাতি তারা ছিলেন। সাধারণত এক্ষেত্রে সার্চলাইট এবং উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে আগুনের মশাল দেখিয়ে এবং শব্দ করে হাতি তাড়ানো হয়। এবারও চকলেট বোম ফাটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছিল। জানাগেছে সে সময় চকলেট বোমের আগুন লেগে যায় প্রকল্পের ভিতর। আর ওই আগুন ছড়িয়ে পড়ে অনেকটা জায়গা নিয়ে। পরিস্থিতি অন্যরকম আকার নেয়। এবার হাতি তাড়ানোর পাশাপাশি আগুন নেভানোর জন্য লড়াই শুরু হয়। আগুন নেভাতে চলে আসে দমকল। হাতি তাড়ানো গেলেও পাশাপাশি আগুনে ছড়াতে পারে। কিন্তু এভাবে চকলেটের জন্য আগুন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। অল্পের জন্য রক্ষা পেল ঘটনাস্থল থেকে অদূরেই মুখ্যমন্ত্রীর বাংলো। রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এই ঘটনায়। এদিন চলে আসেন বনকর্মীরা। প্রশাসনের আধিকারিকরা আজ যাবেন ভোরের আলোতে।
জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের গজলডোবায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের পর্যটন কেন্দ্র – ভোরের আলো। জঙ্গল লাগোয়া হওয়ায় মাঝেমধ্যেই হাতি ঢুকে পড়ছে ভোরের আলোতে। সোমবার রাতেও একটি হাতি ভোরের আলোতে ঢুকে দাপাদাপি শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বেলাকোবার রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত বনকর্মীরা। হাতি তাড়াতে গিয়ে চকলেট বোমা ফাটানো হয়। তাতেই ঘটে যায় অগ্নিকাণ্ড। একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলোর পাশে। দাউ দাউ করে জ্বলতে ভোরের আলোর ভিতরে গাছগাছালি হাতিটি ফিরে যায় জঙ্গলে। অল্পের জন্য রক্ষা পায় মুখ্যমন্ত্রীর বাংলো। ফলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে সকলে।