এইচ এন ডেস্ক, ২ মে: চেন্নাই কাজে গিয়ে আটকে পড়েছেন। আর ঘরে ফিরতে পারছেন না উত্তরবঙ্গের বহু শ্রমিক। তাদের মধ্যে ত্রিবান্তুরে শক্তিমুক্তিনগর এলাকায় প্রায় ১৫০ জন শ্রমিক রয়েছেন। একটি সাইটেই রয়েছে তারা। এক মাস ধরে একবেলা খেয়ে কাটাচ্ছে ওই শ্রমিকরা। লকডাউন বেড়েই চলছে। পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সরকার তৃতীয় পর্যায়ে লকডাউন ১৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। তাতে ওদের আরো উদ্বেগ বাড়ছে।সারাদিনে এক বেলা ভরপেট খেতে পারে না। এ পরিস্থিতিতে লোক যদি আরও বাড়ে, কিংবা অনেকদিন টেনে নিয়ে যায়। তাহলে গভীর খাদ্য সংকটে পড়বেন এই শ্রমিকরা। তারা চাইছেন হয় খাবারের ব্যবস্থা করা হোক নতুবা ঘরে ফিরে আসতে হবে।
কোচবিহার জেলার বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকার এই নির্মাণ শ্রমিকরা প্রায় এক বছর আগে গিয়েছিলেন চেন্নাইয়ে। একইভাবে ধুপগুড়ি জলপাইগুড়ি জেলার শ্রমিক রয়েছেন। সেখানে শুধু ধুপগুড়ির ক্ষেতফুলবাড়ি এলাকার ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিক একটি এলাকাতেই রয়েছেন। সন্তোষ মন্ডল, মনোকর মন্ডল, বাপি বর্মন বলেন, কোচবিহার জেলার ঠিকাদার আমাদের এখানে নিয়ে আসে। আমরা রয়েছি কারগিল নগরে। সব ঠিকই চলছিল। কিন্তু করোনার জেরে সব ওলট-পালট হয়ে যায়। ঠিকাদার এখানে শুধু কোনমতে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু কোনো কাজ নেই আমাদের। একবার খাবার দিয়ে গিয়েছিল। সেই খাবার শেষের পথে। আমরা কোনমতে খাবার বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে একবেলা খেয়ে কাটাচ্ছি। কিন্তু এখন কি হবে। খাবার শেষ।
এবার ঘরে ফেরা ছাড়া উপায় নেই। এজন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় প্রতিনিধির কাছে দাবি জানাচ্ছি ঘরে ফেরানোর। তারা আরও বলেন, “আমরা আগামী দিনগুলো কিভাবে কাটবো বুঝতে পারছি না। যদি লকডাউন বাড়তেই থাকে এবং প্রশাসন যদি উদ্যোগ না নেয় তাহলে চেন্নাই থেকে হাঁটা পথেই চলে আসব জলপাইগুড়িতে কিংবা কোচবিহারে। এরপরও পথে কি হবে জানিনা। যত দিনই লাগুক রাস্তাতেই আমরা থাকবো। কি হবে জানি না।”
যদিও, করোনা আক্রান্ত নন, এমন পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের নিজের রাজ্যে ফেরানোর বন্দোবস্ত শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু পরিযায়ী শ্রমিক নয়, পড়ুয়া, তীর্থযাত্রী ও পর্যটক সহ যাঁরা বিভিন্ন রাজ্যে আটকে রয়েছেন তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানো হবে। এজন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।