পৃথিবী কি বদলে যাবে? এখন এই প্রশ্ন উঠছে

এইচ এন প্রতিবেদন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াই কবে শেষ হবে? এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে। আর কত? এর শেষ কোথায়? ভ্যাকসিন কবে বের হবে? চিকিৎসাই বা কি হবে? এত প্রশ্নের জবাব কিন্তু আশার কিছু নেই। এখনই তো নয়। বরং নিরাশা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তাদের কথায়। এই ভাইরাস ভাইরাস মোকাবিলার সবে প্রথম ধাপে পড়েছে বেশিরভাগ দেশ। তাদের কথায় আরও অনেক লম্বা সময় বিশ্বকে লড়াই করতে হবে কোভিড-১৯-এর সঙ্গে। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই সতর্কবার্তা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রস আধানম গেব্রেইসাস। 

তিনি বলেন, “সেই ৩০ জানুয়ারিতেই করোনা ভাইরাসকে গ্লোবাল এমার্জেন্সি বলে ঘোষণা করেছিল জাতিসংঘ। এমন পরিস্থিতির জন্য তৈরি হওয়ার কথা অনেক আগেই জানানো হয়। অনেক দেশ প্রথমে ভেবেছিল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা গিয়েছে।’ আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি লঘু করার ফলে সেই দেশগুলিতে পুনরায় মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়েছে সংক্রমণ। আগামী মাসের শুরু থেকেই আংশিক লকডাউন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বহু আগেই আমরা বিশ্বমারী ঘোষণা করে দিয়েছিলাম। কয়েকদিন আগের পরিস্থিতির দিকে ফিরে তাকালে দেখা যাবে যে আমরা সঠিক সময়ে দেশগুলিকে সাবধান করেছিলাম। রাষ্ট্রগুলির হাতে এমন অবস্থার জন্য প্রস্তুত হতে যথেষ্ট সময় ছিল।
কোন ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে থাকবেন না। আমাদের সঙ্গে এই ভাইরাস অনেকটা লম্বা সময় কাটাবে,” এত সব প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি।

তাই কবে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি? পৃথিবী কখন তার নিজস্ব ছন্দে ফিরবে বিশ্ব? এর উত্তরে অবশ্য কোনো আশার আলো দেখাতে পারলেন না হু প্রধান। তাই পৃথিবী যে বদলে যাবে তার জন্য একপ্রকার প্রস্তুত থাকাই এখন পরবর্তী পথ।