করোনার চিকিৎসা এবার মেডিক্যালের বাইরে অধিগৃহীত নার্সিংহোমে

শিলিগুড়ি, ১৮ এপ্রিল: সাধারণ রোগীদের জন্য স্বস্তির খবর। এবার মেডিক্যালে নির্দ্বিধায় আস্তে পারেন। করোনা পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কমেছে অন্য রোগীর সংখ্যা। এখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা হয় এবং তা থেকে অন্যরা সংক্রামিত হতে পারে সেই ভ্রান্তি থেকে রোগীরা মেডিক্যালমুখী কম হয়েছেন। আর তার জন্যই সিদ্ধান্ত বদল করে স্বাস্থ্য দপ্তর। মেডিক্যালকে করোনা রোগী মুক্ত হাসপাতাল করা হয়।

গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য সরকার অধিগৃহীত নার্সিংহোমের পরিকাঠামো সাজানো হয়। এবার করোনা সন্দেহভাজনদের পরীক্ষা, স্ক্রিনিং এবং সংক্রামিত হলে তাদের জন্য পৃথক দুটি নার্সিংহোমে চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই শনিবার থেকে মেডিক্যালে আর এই ধরণের রোগীকে ভর্তি নেওয়া হবে না। তবে জানা গেছে, জরুরি ভিত্তিতে কেউ জ্বর, সর্দিকাশি নিয়ে মেডিক্যালে চলে এলে তারা বর্হিবিভাগে কোভিড–১৯ ক্লিনিকে আসতে পারবেন। অন্যকরম কিছু ডাক্তারদের মনে না হলে তাদের ফিভার ক্লিনিকে পাঠানো হতে পারে। তার পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে একটি সার্জিক্যাল আইসোলেশন এবং ওটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
করোনা নিয়ে রাজ্য সরকারের তৈরি করা টাস্ক ফোর্সের সদস্য তথা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতিতি নিয়ে সমন্বয়কারী ডাঃ গোপাল কৃষ্ণ ঢালী জানান, মানুষের মনে একটা ধারণা ছিল যে এখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা হয়। যে কারণে কম রোগী এসেছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরও চেয়েছে করোনা সন্দেহভাজন ও সংক্রামিতদের আলাদা রেখে চিকিৎসা করাতে। এই দুই দিক ভেবেই মেডিক্যালে করোনার চিকিৎসা করা হচ্ছে না।’‌ মেডিক্যাল সূত্রে জানাগেছে, এবার এবার তাদের মূল স্ক্রিনিং হবে কাওয়াখালি সিআরপিএফ ক্যাম্পের পাশে ডিসান হাসপাতালে।
এখানে রোগীদের স্ক্রিনিং করে করোনার উপসর্গ থাকলেই শুধু মেডিক্যালের ল্যাবে লালারসের নমুনা পাঠানো হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হলে সেই রোগীকে মাটিগাড়া সংলগ্ন হিমাঞ্চল বিহারের চ্যাং নার্সিংহোম নিয়ে যাওযা হবে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন অফ স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‌রাজ্য সরকার করোনা চিকিৎসা পৃথকভাবে করতে এবং মেডিক্যালে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা আগের মতোই জারি রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও সমস্ত বিভাগ স্বাভাবিকভাবে খোলা থাকবে। সেই বার্তা দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। এরপর আর বিভ্রান্তি ও দ্বিধা থাকার কথা নয়। তাছাড়া করোনায় আক্রান্ত এখানে প্রথম দুটি ঘটনা ছাড়া সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সরকারি নির্দেশ মানলে আশঙ্কার ভয় নেই। সুস্থ থাকুন। ঘরে থাকুন।