এবার লকডাউন ভাঙলেই পুলিশকে জানান, নিচ্ছে ব্যবস্থা

শিলিগুড়ি, ৫ এপ্রিল: লকডাউন অমান্য করায় এবার কড়া হাতে দমন করছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। রবিবার পুলিশের কাছে খবর আসে বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট খোলা। সেইসঙ্গে খোলা রয়েছে সেলুন। সেখানে ভীড় করছে লোকজন। খবর পেয়ে এনজেপি থানার পুলিশ হানা দেয় বিভিন্ন এলাকায়। তাতে অভিযোগের সত্যতা মেলে। অনেক দোকানে পর্দা টাঙ্গিয়ে আবার অনেক দোকানে পর্দা ছাড়াই দোকান চালাচ্ছে। এই অবস্থায় পুলিশ হানা দিয়ে আটক করে কয়েকজন সেলুন মালিককে। সেইসঙ্গে যারা চুল দাড়ি কাটতে বসেছিল, তাদের ওই অবস্থাতেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়। লকডাউন মানার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তাতে অনেকেই আধা চুল দাড়ি কাটা অবস্থাতেই ঘরে ফিরে যায়। এদিকে আইন ভঙ্গকারীদের এবার ধরপাকড় শুরু হল শিলিগুড়িতে। শনিবার ও রবিবার অন্তত ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। করোনা আটকাতে চলছে সারাদেশ জুড়ে লকডাউন। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণীর লোক বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হচ্ছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যে উদ্দেশ্য তা লঙ্ঘিত হচ্ছিল। পুলিশের বিরুদ্ধে তাদের ভূমিকা একটা সময় অভিযোগ ওঠে। পুলিশ কাজ করছে না বলেও অনেকে মন্তব্য করেন। এবার তার পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হল ধরপাকড়। আইন ভঙ্গকারীদের কড়া হাতে দমন করা হচ্ছে। রাস্তায় বের হলেই আবার আটক, শেষে গ্রেপ্তার।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিটি থানা এলাকায় কড়া নজরদারি চলছে। দিনভর শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় লাগাতার অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে লকডাউন না মানার অভিযোগ ১৬ টি আলাদা আলাদা ঘটনায় ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকাতেই ছটি আলাদা আলাদা ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের বেশ কয়েকটি বিশেষ দল শহরের বিভিন্ন এলাকায় আচমকা অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে স্পর্শকাতর’ পোস্ট এবং গুজব ছড়ানোর অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে। জানাগেছে, বেশ কিছু ব্যক্তি করোনা সম্পর্কিত গুজব এর পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে এমন পোস্ট করেছেন। তাদের সাইবার ক্রাইম থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সমস্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে শিলিগুড়ি সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুলিশ জানিয়েছে,
অতি অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হলে কেউ রেহাই পাবে না। তাই অযথা ঘোরাঘুরি না করে ঘরে থাকার পরামর্শ পুলিশের।