শিলিগুড়ি, ৭ মার্চ: শিলিগুড়িতে আজ তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি। ইতিমধ্যে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরেই জনসংযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল বাহিনী। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে ইতিমধ্যেই দারুণ সাড়া ফেলে দিয়েছে। এবার জনসংযোগে জোর দিতে পুরভোটের আগে আরও এক দফা নতুন কর্মসূচি শুরু হচ্ছে তৃণমূলের। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ঘোষণা করে চমক দিয়েছিলেন। তারই ফলস্বরূপ ৭ মার্চ মে মাস পর্যন্ত টানা ৭৫ দিন ব্যাপী চলবে তৃণমূলের বিশেষ এই জনসংযোগ কর্মসূচি। নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলার গর্ব মমতা’।
জানা গেছে, এই কর্মসূচিতে ৭৫ হাজারেরও বেশি সংখ্যক দলীয় নেতা ও কর্মী ১৫ হাজার জনবসতিতে যাবেন। সারা বাংলার ২.৫ কোটি মানুষের কাছে গিয়ে জনসংযোগের কাজ করবেন তাঁরা। তৃণমূল সূত্রে খবর, মানুষের সঙ্গে দলের যোগাযোগ ‘পুনরুজ্জীবিত’ করার লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি। পাশাপাশি, টানা ৭৫ দিনের জনসংযোগ কর্মসূচিতে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের ব্যস্ততাও বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আজ, শনিবার শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মারওয়ারী ভবনে কর্মীসম্মেলন করে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এই রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে কর্মী সম্মেলন করে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। এই নতুন জনসংযোগ কর্মসূচির সঙ্গে পাড়া বাসীর আলাপ করিয়ে দেওয়াই শাসকদলের মূল লক্ষ্য। পর্যটনমন্ত্রী এদিন বলেন, কী ভাবে সেটা করতে হবে, তার খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল ২ মার্চ ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের বৈঠকে। যে সমস্ত কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক নেই, সেখানে দল মনোনীত কো-অর্ডিনেটররা কর্মী সম্মেলন পরিচালনা করবেন। কর্মসূচির প্রথম দিন থেকেই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং প্রশান্ত কিশোরের টিমের কড়া নজর থাকবে বিধায়ক এবং কো-অর্ডিনেটরদের কাজের উপর। উল্লেখ্য লোকসভা ভোটের পর কিছুটা মুষড়ে পড়া দলকে ফের ময়দানে নামতে সাহায্য করেছিল ‘দিদিকে বলো’। পুরভোটের আগে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি শাসকদলকে ব্যাপক উৎসাহ জোগাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।