রাজগঞ্জ, ২ মার্চ: শিক্ষিত হয়েও চাকরি নেই। বেকারত্বের জ্বালায় বিয়ে করতে পারছে না। বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন। কমপক্ষে ১২ হাজার বা ১৫০০০ টাকার চাকরি পেলে স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাতে পারবে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের ১০০০ হাজার টাকা পেয়ে কি লাভ? বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জে দিদির দূতের সামনে এভাবেই অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। এদিন রাজগঞ্জের পানিরকৌরি গ্রাম পঞ্চায়েতে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দিদির দূত হয়ে আসেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য চন্দন ভৌমিক। তিনি স্থানীয় একটি চার্চে প্রার্থনার পর কর্মসূচি শুরু করেন। মগরাডাঙ্গি বাজার, চৌধুরীভিটা, খলকেরবাড়ি সহ কয়েকটি জায়গায় বাসিন্দাদের কাছে দিদির সুরক্ষা কবচের বিষয় তুলে ধরার পাশাপাশি বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ শোনা হয়।
চৌধুরীভিটার কয়েকজন বাসিন্দা দিদির দূতের উদ্দেশ্যে বলেন, ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হয়ে বেকার হয়ে আছে। চাকরি পাচ্ছে না। উপার্জন না থাকায় বয়স পেরিয়ে গেলেও বিয়ে করতে পারছে না। লক্ষ্মীর ভান্ডারের ১০০০ টাকা দরকার নেই। বেকারদের কর্মসংস্থান দরকার। বেকারত্বের কারণে অনেকে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এদিন কেউ কেউ আবার বার্ধক্য ভাতা, জমির পাট্টা ও আবাস যোজনার ঘর পাননি বলে অভিযোগ করেন। কেউ অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবদার করেন। তবে দিদির দূত চন্দন ভৌমিক সবাইকে হাসিমুখে উত্তর দেন। এদিন জনসংযোগ সভা ও কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজগঞ্জ ব্লকের সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়, মহিলা তৃণমূলের সহসভাপতি সর্বাণী ধারা, আইএনটিটিইউসির ব্লক সভাপতি সলেমান মহম্মদ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।।