শিলিগুড়ি, ২ এপ্রিল: না খেয়ে কেউ থাকবে না। রেশন কার্ড না থাকলেও খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য পথ বের করা হবে। আত্মর এদিকে রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন কিংবা নতুন কার্ড হাতে আসেনি। দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলায় এমন দেড় লক্ষ গ্রাহককেও বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন।তাদেরকে তাই বিভ্রান্ত এবং হতাশ না হওয়ার বার্তা দিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। বৃহস্পতিবার তিনি শিলিগুড়িতে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক ও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে উঠে আসে ৬ মাস ধরে বিনামূল্যে দেওয়ার প্রসঙ্গ। তবে মূলত জোর দেওয়া হয় যে সমস্ত গ্রাহকরা হাতে নতুন কার্ড না থাকায় রেশন পাচ্ছেন না তাদের বিষয়ে। বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহকরা নতুন রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন।অথচ তাদের কার্ড হাতে আসেনি। অথবা নতুন রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেও এখনো পাননি। তারা বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন ও হতাশ হচ্ছেন। অন্যান্যরা রেশন পেলেও তারা কেন পাচ্ছেন না? তা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দেয়। ফলে বুধবার প্রথম দিন রেশন দোকান খুলতেই কিছু গ্রাহক দোকানে গিয়ে এই পরিস্থিতিতে খাদ্যসামগ্রী না পেয়ে ফিরে আসেন। তাদের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী টোকেনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। দার্জিলিং জেলায় এই সংখ্যা রয়েছে ৯৭ হাজার।জলপাইগুড়ি জেলায় রয়েছে ৭৪ হাজার। তাদেরকে আগামী ৭ দিনের মধ্যেই টোকেন পৌঁছে দেওয়া হবে।তালিকা দেখে টোকেন তৈরির কাজ চলছে।এআগামী ১০ এপ্রিল এর পরে তারা একই নিয়মে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী পাবেন। সবার মতোই দুই সপ্তাহের খাদ্যসামগ্রী একসঙ্গে দেওয়া হবে তাদের।
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা অন্ত্যোদয়, এসপিএইচএইচ, পিএইচএইচ এবং রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের (এক নম্বর) গ্ৰাহকরা সমপরিমাণে চাল ও গম পাবেন বিনামূল্যে।
অন্ত্যোদয় ছাড়া অন্যরা মাসে মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে চাল ও গম পান রেশনে। অন্ত্যোদয়ের ক্ষেত্রে পরিবারপিছু মাসে ৩৫ কেজি করে খাদ্য শস্য দেওয়া হয়। খাদ্য দপ্তরের নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকারের দুই নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকরা আগের মতোই মাথাপিছু ১ কেজি করে চাল ও গম পাবেন। এই শ্রেণীর গ্রাহকদের অবশ্য আগের মতোই ১৩ টাকা কেজি দরে চাল ও ৯ টাকা কেজি দরে গম নিতে হবে। এটা নিয়ে বিভ্রান্তি শুরু। রেশন দোকানের সামনে তাই সরকারি তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে।
দার্জিলিং জেলায় বিনামূল্যের খাদ্য সামগ্রী পাবেন ১৩ লক্ষ গ্রাহক। জলপাইগুড়ি জেলায় বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী প্রায় ২৪ লক্ষ গ্রাহক। তারাই রেশন দোকানে ভিড় করছেন। এনিয়ে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, অযথা ভিড় করে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রচুর পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী মজুত রয়েছে। সবাই সরকারি ঘোষণা মতো কার্ড ভিত্তিক খাদ্য সামগ্রী পাবেন। কোথাও কম দেওয়া হলে বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন দেখছে। কিন্তু অযথা কেউ বিভ্রান্ত সৃষ্টি করলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে চক্রান্ত, বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া যাবে না। পুলিশকে একদিকে যেমন সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা দেখতে হবে। তেমনি বিশৃঙ্খলা সামলাতে হবে। সুষ্ঠুভাবে যাতে গরিব মানুষরা খাবার পায় দেখতে হবে।