নিউজ ডেস্ক, ২৯ মার্চ: করোনার জেরে লকডাউন চলছে। এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো পয়লা এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী বিতরণ করা হবে। রেশন দোকান গুলির সামগ্রী মজুদ সঠিক পরিমাণে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষের কাছে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিতে ডিলারদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। রেশন সামগ্রী একেবারেই মজুদ রাখতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় সন্ধে ৬ পর্যন্ত রেশন দোকান খোলা রাখতে হবে। একমাসের রেশন সামগ্রী একবারে বিতরণ করা হবে। ঠিক হয়েছে, সাধারণ মানুষ একবারে রেশন দোকানে এসে পুরো মাসের সামগ্রী তুলে নেবেন।
আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত রাজ্যের ৭ কোটি ৮৮ লক্ষ রেশন গ্রাহক বিনা পয়সায় চাল ও গম পাবেন। কোন কোন শ্রেণীর গ্রাহকরা এই সুবিধা পাবেন সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা অন্ত্যোদয়, এসপিএইচএইচ, পিএইচএইচ এবং রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের (এক নম্বর) গ্ৰাহকরা সমপরিমাণে চাল ও গম পাবেন বিনামূল্যে।
উল্লেখ্য, অন্ত্যোদয় ছাড়া অন্যরা মাসে মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে চাল ও গম পান রেশনে। অন্ত্যোদয়ের ক্ষেত্রে পরিবারপিছু মাসে ৩৫ কেজি করে খাদ্য শস্য দেওয়া হয়। নির্দেশিকায় আরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, রাজ্য সরকারের দুই নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকরা আগের মতোই মাথাপিছু ১ কেজি করে চাল ও গম পাবেন। এই শ্রেণীর গ্রাহকদের অবশ্য আগের মতোই ১৩ টাকা কেজি দরে চাল ও ৯ টাকা কেজি দরে গম নিতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে এই দুই নম্বর প্রকল্পের রেশন গ্রাহকের সংখ্যা এখন প্রায় ১ কোটি ৪৫ লক্ষ। গত পুজোর পর থেকে দুই পর্যায়ে বিশেষ শিবিরে আবেদনপত্র নিয়ে যে নতুন রেশন কার্ডগুলি দেওয়া হয়েছে ও দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে সেগুলি সবই রাজ্য সরকারের এক নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের কার্ড। ফলে ওই নতুন কার্ড প্রাপকরা সবাই বিনা পয়সায় খাদ্যশস্য পাওয়ার সুবিধা পাবেন। কিন্তু এই সময় ও কড়া নজরদারি রাখার দাবি করলেন গ্রাহকরা। কারণ বহু ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তাদের আশঙ্কা এ সময় ঠিকমতো খাদ্য সরবরাহ করবে না তারা। এজন্য খাদ্য দপ্তর পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজরদারি দরকার রয়েছে।