জলপাইগুড়ি, ১৬ মার্চ: মানবিক উদ্যোগ জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাত। এক নাবালক থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য রক্তের ব্যবস্থা করলেন মাত্র ১৫ মিনিটে। ওই রোগীর জন্য দ্রুত ‘এ’ নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।
জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিল রোগী। ১৪ বছরের ওই রোগীর নাম সুখদেব দাস। সোনাউল্লা হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র। বাবা একজন ট্যাক্সি চালক। ওই নাবালকের জন্য রক্তের প্রয়োজনের কথা জানতে পারেন জলপাইগুড়ি মহিলা সঙ্ঘ সমিতির সেক্রেটারি সুচিত্রা সেনগুপ্ত। তিনি ফোন করেন ফাইট ব্যাক কোভিড গ্রুপের কর্নধার তন্ময় সেনগুপ্তকে জানান। তাঁর মাধ্যমে নানা দিকে ছড়িয়ে পড়ে এই বার্তা। এভাবেই বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে খোঁজ চলতে থাকে রক্তের। অনেকটাই বিরল ‘এ’ নেগেটিভ রক্ত।
শেষ পর্যন্ত বিষয়টি জানানো হয় জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপারকে। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই রক্তের ডোনারের হদিশ করে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে দেন তিনি। রক্তদাতা নিজেও একজন পুলিশ কর্মী। পুলিশ সুপার জানান, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে উৎসর্গ নামে একটি প্রকল্প রয়েছে।
যার দ্বারা প্রতি মাসেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে রক্তদাতাদের ব্লাড গ্রুপের একটি তালিকা রয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী খোঁজ চালিয়ে দেখা যায় একজন পুলিশ কর্মীর ওই গ্রুপের রক্ত রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কল করে ব্লাড ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে রক্তের ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশ সুপারের এই মানবিক দৃষ্টান্তের কথা ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হচ্ছেন জলপাইগুড়ি শহরের সমাজকর্মীরা। যদিও বিষয়টিকে নিজের কর্তব্য বলেই মনে করেন জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাত।