শিলিগুড়ি, ২১ জুন: প্রথমেই সতর্কতা। খালি চোখে আজ আকাশের দিকে তাকাবেন না। আজ উত্তর ভারতের পাশাপাশি শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে সূর্যগ্রহণ। ওই দিন সকাল ১০.৪৭মিনিট ৩ সেকেন্ড থেকে গ্রহণ শুরু হবে। শেষ হবে ২ টা ১৬ মিনিট ৭ সেকেন্ডে। প্রায় একই সময়ে উত্তরবঙ্গে সর্বত্র গ্রহণ দেখা যাবে।
জানাগেছে, এই অ্যানিউলার বা বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ শুরু হবে কঙ্গোতে। সর্বোচ্চ গ্রহণ দেখা যাবে ভারতে এবং গ্রহণ শেষ দেখা যাবে ফিলিপিন্সের আকাশে। সর্বোচ্চ গ্রহণ দেখা যাবে দুপুরে ১২টা ৪০ মিনিট ৬ সেকেন্ডে ভারতের যোশিমঠে।
সাধারণত তিন ধরণের সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। পূর্ণ সূর্যগ্রহণ পৃথিবীর ছোট অংশ থেকে লক্ষ্য করা যায়। এই অবস্থা তৈরি হয় যখন সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী সরাসরি একই সরলরেখায় অবস্থান করে। দ্বিতীয়টি আংশিক সূর্যগ্রহণ, যখন সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবীর অবস্থান এক সরলরেখায় থাকে না।
আজ রবিবার পৃথিবী থেকে দেখা যাবে অ্যানিউলার বা বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। এই সময় চাঁদ পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে, জানিয়েছে নাসা। এই কারণে সূর্যের মুখ পুরোপুরি আড়াল করতে ব্যর্থ হয় চাঁদ। পরিবর্তে সূর্যের সামনে চাঁদকে দেখায় যেন এক জ্বলন্ত গোলকের মুখে ছোট মাপের ঢাকনার মতো। এর ফলে আকাশে থেকে দেখা যায় অপরূপ এক উজ্জ্বল বলয় বা ‘রিং অফ ফায়ার’। এদিনের গ্রহণ দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে সোয়ান। সরাসরি তারা দেখাবে। সোয়ানের পক্ষে দেবাশিস সরকার জানান, আকাশ ভালো থাকলে দেখা যাবে ভালোভাবে। তবে খালি চোখে কোনো গ্রহণ দেখবেন না।
সঠিক পদ্ধতি ও নিরাপদে গ্রহণ দেখার যন্ত্রপাতি ছাড়া গ্রহণ দেখতে গেলে অতি বেগুনি রশ্মি ও ইনফ্রারেড রশ্মির আঘাতে রেটিনায় বড়সড় সমস্যা তৈরি হতে পারে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যে এক মুহূর্তের জন্যও সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো উচিত নয়। যদি গ্রহণে ৯৯ শতাংশ সূর্যকেও ঢেকে ফেলে চাঁদ, তাহলেও অবশিষ্ট রশ্মি চোখের ক্ষতি করার পক্ষে যথেষ্ট। তেজস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সঠিক অপটিক্যাল ঘনত্ব রয়েছে এমন সোলার ফিল্টার দিয়ে গ্রহণ দেখা যেতে পারে। যথাযথ স্থূলত্বের অ্যালুমিনিয়াম মিলার ফিল্ম এবং দৃশ্যমানতা যুক্ত কালো পলিমারও নিরাপদ। এগুলি গ্রহণ দেখার বিশেষ গগলসে থাকে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
তবে পেরিস্কোপে, টেলিস্কোপ বা দূরবীন- কোনও কিছুর সাহায্যে গ্রহণ দেখার সময় সূর্যের দিকে সরাসরি তাকাতে বারণ করা হয়েছে।