শিলিগুড়ি, ১৫ মার্চ: স্বামীর সাথে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে নিখোঁজ স্ত্রী। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই ঘটনা। স্বামী-স্ত্রী ডাক্তার দেখিয়ে আলট্রাসনো করতে নিয়ে গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে হঠাৎ নিখোঁজ ওই বধূ।
দীর্ঘক্ষণ মেডিকেলের বিভিন্ন ওয়ার্ড খোঁজাখুজি করে স্ত্রীকে না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি চলে আসেন স্বামী রতন সিংহ।
শিলিগুড়ি মহাকুমার ফাঁসিদেওয়া থানার হাতিরাম সংলগ্ন কালাচাঁদ জোতে তাদের বাড়ি।
৯ মাস আগে ঘোষপুকুর সংলগ্ন দত্তাঝাড় এলাকায় সামাজিক মতে বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রী বিভা সিংহ ডাক নাম কাকুলি সিংহ ৪ মাসের অন্তঃসত্তা এখন। ছোট একটি গাড়ির চালক প্রথম রতন সিংহ গত ১৩ মার্চ স্ত্রীকে নিজের বাইকে করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে গিয়ে আলট্রাসনো করানোর জন্য লাইনে দাঁড়ান। তার পাশাপাশি ব্লাড ব্যাংকও যান রিপোর্ট আনতে।
এদিকে স্ত্রীকে জরুরি বিভাগের সামনে বসিয়ে রেখে তিনি লাইনে দাঁড়ান । কিন্তু এসে দেখেন তার স্ত্রী উধাও। কয়েকবার ফোন করেন। কিন্তু রিং হয়ে আর ফোন তোলেনি। এক সময় ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ফোন বন্ধ তার।
ওই দিনই বেলা বারোটার সময় এই ঘটনা। এক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজি পরে তিনি বাড়ি চলে আসেন। বাড়ি এসে দেখেন সেখানেও নেই স্ত্রী। এরপর তিনি যোগাযোগ করেন শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতেও নেই বলে জানায়।
এরপর তিনি আবার চলে আসেন মেডিকেলে ।খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শেষে মেডিকেল ফাঁড়িতে গিয়ে অভিযোগ জানান। এভাবে চার মাসের অন্তঃসত্ত্ব বধূকে হারিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
রতন বাবু বলেন, ঘটনার দিন ১৩ মার্চ নিখোঁজ হওয়ার আগে অস্বাভাবিক কিছু আচরণ দেখেছি স্ত্রীর মধ্যে।
বারবার আমাকে বাইক আনতে পাঠাচ্ছিল। আমি যায়নি বলে আমার সঙ্গেও কথা কাটাকাটি করার চেষ্টা করে। এরপর আমরা আখের রস খাই। এরপর লাইনে দাঁড়াই। যেখানে স্ত্রীকে বসিয়ে রেখেছিলাম সেখানে একটি লাল রঙের স্কুটি ছিল । সেই স্কুটিতে ব্যাগ রাখা ছিল আমার স্ত্রীর। সেই ব্যাগ সহ স্কুটি নেই। স্ত্রীও নেই।
তিনি সন্দেহ করেন কারো সঙ্গে তিনি চলে যেতে পারেন। তবে এখনো বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এজন্যই তিনি পুলিশের কাছে নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রতন বাবু বলেন জানিনা আমার স্ত্রী কোথায় গিয়েছে। তবে আমার আবেদন তিনি যেখানেই গিয়ে থাকেন আমাদেরকে একবারের জন্য হলেও ফোন করে জানাক। আমরা খুঁজে বেড়াচ্ছি। তিনি জানালে আমরা খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে দেব।
তিনি যেখানে থাকতে চান সেখানে থাকুন। শুধু আমাদেরকে একবারের জন্য হলেও জানাতে পারেন। এদিন বাড়িতে রতন সিং এর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল পরিবারের সকল সদস্যই চিন্তায় রয়েছে।