মালদা, ২১ মার্চ: স্কুলের মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। স্কুলে গিয়ে ওই লালসার শিকার হয় দিনের বেলা এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ গোটা ঘটনায় স্কুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মালদার গাজোলের একটি জুনিয়র হাইস্কুলের ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার৷ ওই জুনিয়র স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৭ জন৷। শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন।৷ সেদিনহাতে গোনা কয়েকজন ছাত্রী স্কুলে গিয়েছিল।৷ তবে অসুস্থতার জন্য শিক্ষক স্কুলে যাননি৷ কিন্তু মিড ডে মিলের রাধুনীরা ছিলেন এবং মিড ডে মিল খাওয়ানো হয়। শিক্ষক না থাকায় পঠনপাঠন হয়নি৷ পড়ুয়ারা মিড ডে মিল খেয়ে বাড়ি চলে যায়৷ তবে নির্যাতিতা ও তার এক বান্ধবী স্কুলে ছিল৷ সেসময় এলাকার তিন যুবক স্কুলে ঢোকে৷ তারা দু’জনকেই দোতলায় টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে৷ কিন্তু এক ছাত্রী কোনওমতে তাদের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়৷ এরপরেই ওই তিন যুবক এক ছাত্রীকে দোতলার একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ এদিকে পালিয়ে যাওয়া ছাত্রীটি নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে সব কথা খুলে বললে তার মা স্কুলে ছুটে যান।
নির্যাতিতার মা বলেন, সেদিন খবর পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে গিয়ে দেখি, দোতলার ঘরে বসে মেয়ে কাঁদছে৷ অনেক জিজ্ঞাসা করলেও সে কিছু বলেনি৷ বাড়ি ফেরার পর মেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে৷ এরপরেই গাজোল থানায় তিন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি৷ পুলিশ তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে৷ ধৃতদের একজন নির্যাতিতার বান্ধবীর দাদা৷ ওই ঘটনার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ দায়ী বলে নির্যাতিতার মায়ের আভিযোগ। তিন অভিযুক্তকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তিনজনেরই ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন৷