সুফল বাংলা যোগান দিচ্ছে টাটকা শাক সবজি

শিলিগুড়ি, ২৪ মার্চ: তাজা সবজি বাজারের চেয়ে কম দামে। করোনা ভাইরাস আটকাতে লকডাউন দেশজুড়ে। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম দফায়। তাই অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সঙ্গে ফল সবজির দোকান খোলা থাকলেও বাজারে চড়া দাম। দুদিন আগের ৬০ টাকা কেজি লংকা ১৬০ টাকা দর হাঁকছে। ১৫ টাকার আলু কোথাও ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কুড়ি টাকার পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাজারে যখন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চড়াদামে শাকসবজী বিক্রয় করছে। গৃহস্থের পাশে এসে দাঁড়ালো রাজ্য সরকারের ‘সুফল বাংলা।’ মঙ্গলবার শিলিগুড়ির কাছে শিবমন্দির আঠারোখাই এলাকায় দেওয়া হল ভ্রাম্যমান স্টল। সেই স্টলে মিলল তাজা শাকসবজি। রাসায়নিক সার বিহীন এই শাকসবজি বিক্রি হল বাজার থেকে অন্তত ১০ থেকে ২০ টাকা কম দামে।
এর আগে পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া দামের সময়ে ‘সুফল বাংলা’ স্টল খুলে মানুষের রান্নাঘরে ন্যায্যমূল্যে পেয়াজ পৌঁছে দিয়েছিল। পাইকারি বাজার থেকে ভর্তুকি দিয়ে তখন পেঁয়াজ কিনে ৯৩৫টি কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হয়। কেজি পিছু সম পরিমাণ কিংবা বেশি টাকা ভর্তুকি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। যে কারণে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজির পেঁয়াজ ৫৯ টাকায় কিংবা আরও কম দামে মেলে।
সুফল বাংলা প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ন্যায্য মূল্যের দোকান ও কাউন্টার খোলা হয়েছে। এখান থেকে কম দামে সবজি কিনতে পারছেন মানুষ। স্থায়ী ও চলমান দু ধরনের দোকানই রয়েছে। মঙ্গলবার তেমনি একটি চলমান দোকান নিয়ে আসা হয় মাটিগাড়ার আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে। সেই স্টলে ফাঁসিদেওয়া, তারাবারি, চন্ডাল জোত, বকরাবাড়ি, গোসাইপুর, রানিডাঙ্গা এলাকা থেকে তাজা সবজি নিয়ে আসা হয়। করোনার বিরুদ্ধে লড়তে বিশেষ করে এই সময়ে তাজা সবজি খুব প্রয়োজন বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
এদিন তাই এই সবজির স্টলে ভালো চাহিদা ছিল। স্টলে টমেটো বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং ব্রকলি ১০ টাকা কেজি। লাউ ২০ টাকা গোটা, কাঁচা লংকা ১০০ টাকা, বিনস ৩০ টাকা। এছাড়া আলু ১৬ টাকা ও পেঁয়াজ ২৫ টাকা। সুফল বাংলার স্টলের ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়া প্রতাপ চন্দ্র সিংহ বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ন্যায্যমূল্যে তাজা এবং রাসায়নিক সার মুক্ত সবজি দেওয়া। আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে আপাতত এই স্টলটি থাকবে।’ এদিকে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অভিজিৎ পাল রিন্টু বলেন, ‘সবজি কিনতে প্রথমে ভিড় জমে যায়। তাই আমরা লাইন করে ৪ জন করে ক্রেতা ঢুকিয়েছি। বাজারের চড়া দাম। করোনার পরিস্থিতিটে বাজারে সংকট। এই স্টলের মাধ্যমে কম আয়ের মানুষদের কাছে মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে রক্ষা করার ঢাল হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করি।’