সিডনির হারবার ব্রিজের আদলে সেতু দেখতে প্রতিদিনই পর্যটক আসছেন গজলডোবায়

গিরিশ মজুমদার: শিলিগুড়ি, ২ সেপ্টেম্বর: সিডনির হারবার ব্রিজের আদলে গজলডোবায় তৈরি হচ্ছে ঝুলন্ত সেতু। ‘‌ভোরের আলো’‌ প্রকল্পকে জুড়তে তিস্তা ক্যানালের উপর সেই সেতুর অবয়ব কাঠামো দেখতেই ছুটছেন পর্যটকেরা। প্রতিদিনই ভিড় করছেন ভ্রমণপিপাসুরা। ছুটির দিনগুলোতে ভিড় বাড়ছে। সেতুর আশেপাশে কিংবা সেই নির্মীয়মান সেতুকে পেছনে রেখে তুলছেন ছবি। সেলফি নিচ্ছে প্রায় সেখানে যাওয়া প্রত্যেকেই। রীতিমতো ভোরের আলো প্রকল্পের এই সেতুটি এখন যেন ‘‌সেলফি জোন’‌ হয়ে উঠেছে। ঝুলন্ত সেতুর ছবি ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গজলডোবায় ঘুরতে গিয়েছেন প্রত্যেকেরই এই অসমাপ্ত সেতুকে আগলে রাখার ছবি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই সেতু ঘিরে পর্যটনে বাড়তি মাত্রা যুক্ত হবে বলে মনে করছে সব মহলই। 

মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প এই ‘‌ভোরের আলো’‌। এখানে তিস্তার কোলে ২০৮ একর জমির উপরে তৈরি হয়েছে মেগা পর্যটন কেন্দ্র। তার প্রথম ধাপের উদ্বোধন ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। এবার ধাপে ধাপে কাজ চলছে। এই প্রকল্পে জুড়তে বিগত পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের আমলে সুদৃশ্য এই সেতু তৈরি শুরু হয়। প্রকল্পের পাশ দিয়ে বয়ে চলা তিস্তা ক্যানালের একপাড় থেকে অন্য পাড়কে জুড়তে এই সেতু। ঝুলন্ত অবস্থায় জুড়ে যাবে সেতুটি। ভোরের আলোকে বিশ্বে পরিচিতি দিতে দর্শনীয় করতে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির হারবার ব্রিজের আদলে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

এই সেতু তৈরি করতে পূর্ত দপ্তর প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ করবে। কাজ শুরু হলেও মাঝে করোনার জন্য বন্ধ ছিল। এখন শেষ পর্যায়ে চলছে। এই অবস্থাতেই এখন সেতুর টানে ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকরা। লন্ডনের টেমস নদীর সেতু কিংবা, গঙ্গায় হাওড়া ব্রিজ আর উত্তরে পাহাড়ের কোলে সেবকের করোনেশন সেতু দেখতে পর্যটকরা ছুটে আসেন। গজলডোবাতেও একইভাবে একদিকে তিস্তা ব্যারেজ দেখতে আগে থেকেই পর্যটকদের দেখা যেত। এবার নতুনভাবে এই হারবার ব্রিজের আদলে সেতু দেখতে এখনই ছুটে আসছেন পর্যটকরা। দেশের কিংবা বিশ্বে সেতু কেন্দ্রিক পর্যটক ধরে রাখার মতোই অন্যতম জায়গা হয়ে উঠতে চলছে গাজলডোবার ‘‌ভোরের আলো’‌।