রাজগঞ্জ, ৬ আগস্টঃ শ্বশুর বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেনা পরিবারের লোক। তাই শিশু সন্তানকে নিয়ে ধর্নায় বসেন এক মহিলা । শুক্রবার শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন ফুলবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব ধনতলায় ওই ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় । মহিলার নাম বেবি মল্লিক ( ৩০ )। তার বাপের বাড়ি শিলিগুড়ির জনতানগরে।
ওই মহিলা জানিয়েছেন, প্রায় এগারো বছর আগে ফুলবাড়ির পূর্ব ধনতলার রবীন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সন্দীপের সঙ্গে তাঁর সামাজিক মতে বিয়ে হয় । বিয়ের কয়েক মাস পর শ্বশুর ও শাশুড়ি মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার শুরু করে । স্বামী কোনও প্রতিবাদ করেনা । গত ১৪ জুলাই ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার উপস্থিতিতে সালিশি সভা হয় । সালিশি সভায় সন্দীপ মল্লিক তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ভাড়াবাড়িতে থাকবেন বলে রাজি হয়ে স্ত্রীকে কয়েক দিনের জন্য বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন । তাঁরপর ২২ দিন কেটে গেলেও স্বামী ভাড়াবাড়ি ঠিক করেনি বা স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেনি । এদিন তিনি নিজের ৮ বছরের ছেলেকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে ঢুকতে গেলে শ্বশুর – শাশুড়ি বাড়ির গেট বন্ধ করে রাখেন। অগত্যা শিশু সন্তানকে নিয়ে ধর্নায় বসেন । খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে পৌঁছায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা কাঞ্চন মন্ডল এবং নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ । তারাও ওই মহিলাকে শ্বশুর বাড়িতে ঢোকাতে সফল হয় না। অবশেষে শশুর বাড়ির পক্ষ থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে ভাড়াবাড়ি ঠিক করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় ওই মহিলা ফের বাপের বাড়ি চলে যান।