শেষ বেলাতেও ভবঘুরের পাশে এসে দাঁড়ান অনেকে

শিলিগুড়ি, ২৯ ফেব্রুয়ারি: তাকে শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের টিকিট কাউন্টারের মুখে সব সময় পড়ে থাকতে দেখা যায়।এসএমপি গেটের মুখে ফুটপাতেই পড়ে থাকত ওই ব্যক্তি। পায়ের উপর পা উঠিয়ে ঘুমাতেও দিনরাত।কেউ কিছু দিলে খেতো। সেই ভবঘুরের মৃত্যু হল।
শিলিগুড়ির বাসিন্দা এক পরিবেশবিদ সুজিত রাহা লিখে জানিয়েছেন, “বেশ কিছুদিন থেকে স্টেডিয়ামের কাছে দৈহিক প্রতিবন্ধকতা ও জড়বুদ্ধি সম্পন্ন এক অসহায় মানুষ থাকতেন। কদিন আগে থেকে ধীরে ধীরে খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। উঠে বসতেও পরছিলেন না। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আমার ভাতৃসম গাড়ীচালক শুভ (যার মাধ্যমে ঐ মানুষটির ন্যুনতম দেখভাল বহুদিন থেকেই করা হতো) ও এতল্লাটের সবার প্রিয় মুনিয়া দা, (সকলের পোশাক ধোপদুরস্ত রাখা যার পেশা) এই দুজনের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভরতি করি। শিলিগুড়ি ভলান্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স ফোরাম এব্যাপারে অনেক সাহায্য করেছে। শেষরক্ষা হয় নি। লোকটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার কারনে স্থানীয় কারবালা কমিটিকে অবগত করেছিলাম। গতকাল কারবালায় তাকে ধর্মীয় রীতি অনুসারে সমাধিস্থ করবার কাজ সেখানকার সদস্যদের সহযোগিতায় আমার উপস্থিতিতেই সম্পন্ন হয়। সদস্যদের সাথে আলোচনার পর তিন দিন ও পয়তাল্লিশ দিন পর সেখানেই দুটো অনাড়ম্বর পারলৌকিক ক্রিয়ায় সহযোগিতা ও অংশ নেবার কথা জানিয়ে এসেছি।
হাসপাতালে নেওয়ার সময় রাস্তা থেকে ধরা এম্বুলেন্সে বা পরবর্তীতে মরদেহ নিয়ে যেতে যে চালক নিজে থেকে এগিয়ে আসেন। এঁরা কেউই টাকা পয়সা নিতে রাজি হয় নি। অনেক খারাপের মাঝে এসব দেখে ভালোও লাগে।”