শিলিগুড়ি, ১৭ এপ্রিল: শিলিগুড়ি বিধান মার্কেটে মুরগির বাজারের পাশের গলিতে লকডাউন অমান্য করে হাঁড়িতে মাংস বানিয়ে মদ দিয়ে পিকনিক চলছিল। পাশের কিছু ব্যবসায়ী এনিয়ে অভিযোগ করে জানায় সেকথা। খবর পেয়ে সেখানে যান বৈদ্যুতিন মাধ্যমের এক সাংবাদিক রাজা দাস।
তিনি গিয়ে দেখেন, লক ডাউনকে উপেক্ষা করে শহরের মাঝে বেনিয়মের ছবি। ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি একসাথে বসে দেশি , বিদেশি মদের সাথে মাংস দিয়ে চলছে পিকনিক ।
খবর ও ছবি করতে গেলে উল্টে মার্কেটের দাদা তথা রক্ষনাবেক্ষণকারীদের ফোন করে জানান , সাংবাদিক এসে ছবি তুলে বিরক্ত করছে , আপনি কিছু করুন। সেসময় একজন মমো বিক্রেতা হিলকার্ট রোডে যার দোকান রয়েছে সে ও একজন মুরগির দোকানের ম্যানেজার আরেকজন মুরগির দোকানের ব্যবসায়ী রীতিমতো রাজা দাসের মাইক্রোফোন হাত থেকে টান দিয়ে ছিড়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, মুখের মাক্স খুলে ধাক্কা দেয় শারীরিক হেনস্থা করে মমো বিক্রেতা। তার বাড়ি হায়দার পাড়া শিবরাম পল্লী এলাকায়।
পুলিশকে রাজবাবু লিখিত অভিযোগে জানান, মোমো বিক্রেতা সত্য সরকার আমার মুখের মাক্স টান দিয়ে ছিড়ে ফেলে। তাদের অপকর্ম সামনে এনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পুরো ঘটনার সাক্ষী থাকে বিধান মার্কেট মুরগির কিছু ব্যবসায়ী। যদিও ভয়ে তারা দর্শক ভূমিকায় ছিল। বাধ্য হয়ে সেখান থেকে পুলিশ প্রশাসনকে ফোন করি। পানিট্যাঙ্কি আউটপোস্ট এর ওসি সমীর তামাং পুলিশ নিয়ে আসলে একটি বাইক ফেলে বাকিরা সবাই পালিয়ে যায়। মোটরবাইকটি পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।
পুলিশের কাছে রাজা দাস হামলাকারীদের ছবি দিয়ে জানান, মুরগির দোকানের এক ম্যানেজার আলী এক দোকানের মালিক নিতাই ঘোষ সেখানে ছিল। এদিকে রাজা দাস বলেন, থানায় অভিযোগ জানানোর পরই নানা “দাদাদের” ফোন আসে। বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলে তারা। পানিট্যাঙ্কি আউটপোস্ট লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় শিলিগুড়ি থানার আইসি আশ্বাস দিয়েছেন গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হবে।