শিলিগুড়ি, ৬ ডিসেম্বর: ধরা পড়ে গেল এক লরি খয়ের কাঠ। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ টাকা। নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। পাশাপাশি এই কাঠ পাচারে জড়িতদের ধরতে তদন্ত শুরু করেছে।
কিছুদিন আগেই রাজগঞ্জ এলাকায় উদ্ধার করা হয়েছিল খয়ের কাঠ। এই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিল বনবিভাগে। তার কয়েকদিন পরেই এবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল খয়ের কাঠ। বনবিভাগের ধারণা শিলিগুড়ি শহর ও শহরতলিকে করিডর বানিয়ে চলছে এই পাচারকাজ। প্রায় প্রতিদিনই এই পথে বিভিন্ন ধরনের চোরাই সামগ্রি উদ্ধার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার গোপনসূত্রে খবর পেয়ে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ ফুলবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। আটক করা হয় একটি ফুলপঞ্জাব লড়ি। সন্দেহবশত ওই লরি তল্লাশি চালাতেই মিলে যায় সাফল্য। প্লাস্টিকের তাবু দিয়ে উপরে ঢাকা। ভেতরে আবার কাগজের কার্টন দিয়ে ঢাকা বড় বড় কাঠের লগ। প্রাথমিক পরীক্ষার পরই জানা যায় এগুলি খয়ের কাঠ। গাড়িতে তখন ছিলেন শুধু চালক। তিনি এই কাঠের বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। পুলিশ অবশেষে রাজেশ মালিক নামে ওই গাড়ি চাললকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, এই খয়ের কাঠ পাচারের উদ্দেশ্যেই নিয়ে আসে। নাগাল্যান্ডের কোথাও থেকে কাঠ লোড করে। এরপর এতগুলি রাজ্য পার হয়ে শিলিগুড়ি হয়ে হরিয়ানায় যাচ্ছিল। প্রশ্ন উঠছে নাগাল্যান্ড থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছানোর পথে অনেকগুলো চেকপোস্ট পড়েছে। তা কীভাবে পার করে এল এই লড়িটি? পুলিশ তা জানতে চেষ্টা করেছে এবং এই পাচার কান্ডে কারা জড়িত রয়েছে সমস্ত বিষয়েই তদন্ত শুরু করেছে। শুক্রবার ধৃত রাজেশ মালিককে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠায় পুলিশ।