শিলিগুড়ি, ১৬ মে: পুর নিগমের প্রশাসক মন্ডলী, ডি এম দার্জিলিং, সি পি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট, কমিশনার শিলিগুড়ি পুর নিগম এবং স্বাস্থ্য আধিকারিক বৃন্দের উপস্থিতিতে বৈঠক ।
কয়েকটি নার্সিং হোম সরকারি নির্দেশ থাকা সত্বেও অত্যধিক চার্জ করছে । স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেওয়ার ক্ষেত্রে টালবাহানা ইত্যাদি করছে । ডি এম সাহেব বলেছেন তারা টাস্ক ফোর্স গঠন করে ব্যাপার গুলো মনিটরিং করবেন। যাতে মানুষের কোনও সমস্যা না হয় । সমস্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক ও অ্যাসোসিয়েশন গুলোর সাথে মিটিং করবে তারা । লাগামছাড়া ভাড়া নিলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিবে ।
শিলিগুড়ি হসপিটালে ৪০ বেডের কোভিড হসপিটাল হচ্ছে তারমধ্যে ২০ টি বেডে অক্সিজেন থাকবে । আমরা চেষ্টা করছি ৫/৬ টি বেড কমপক্ষে আই সি ইউ বেড হিসাবে গড়ে তুলতে । দুটো অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি হয়ে গেছে । অক্সিজেন প্লান্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার টালবাহানা করছে । তারা ৭০ টির জায়গায় মাত্র ৪ টি প্লান্ট দিয়েছে । এর জন্য আমরা প্লান্ট গুলো কে চালু করতে পারছি না । ওষুধের যোগান ঠিক রাখতে প্রশাসন বি সি ডি এ -র সাথে মিটিং করছে । সমস্ত এন জি ও, বণিক সভা গুলোর সাথে মিটিং করা হবে ।
সিদ্ধান্ত হয়েছে একটা সেফ হোম হবে পলিটেকনিক কলেজে । সূর্য নগর সমাজ কল্যাণ সংস্থা তারা সেখানে দায়িত্ব নেবে । যীশু আশ্রমের সেফ হোমটি সিনি এবং অন্যান্যরা সেটার দায়িত্বে থাকবে । অমিত আগরওয়ালা ফাউন্ডেশন তারা একটি করছে লাইন্স ক্লাবের সাথে একত্রে । বণিক সভা এবং সি আই আই তারা মাউন্ট ভিউ হসপিটালটাকে নিচ্ছেন লাইফ লাইনের সাথে একত্রে । সব কিছুই হেল্থ ডিপার্টমেন্টের তত্ত্বাবধানে থাকবে ।
নুতন যে ক্রিমেটরিয়ামের জায়গা দেখা হয়েছে সেখানে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে । শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এক্সট্রা লোক নেয়ার কথা বলা হয়েছে । কাজের ভিত্তিতে সাফাই কর্মীদের ইনসেনটিভ দেওয়া হবে । আজ বৈঠক শেষে জানান প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব।