শিলিগুড়ি, ২৭ ফেব্রুয়ারি: কদিন পরেই বসন্ত উৎসব। রঙের এই উৎসবে জন্য বিট, গাজর, পালংশাক সহ বিভিন্ন ধরণের ফুল দিয়ে আবির তৈরি করা হচ্ছে। এভাবে ভেষজ আবির তৈরি করে দিশা দেখাচ্ছেন মহিলারা। স্বনির্ভর হচ্ছেন তারা। আই এই রাসায়নিকমুক্ত বিকল্প আবির বানাতে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে শিলিগুড়ির ইউনিক ফাউন্ডেশন। বসন্ত উৎসবে চারদিক সেজে উঠবে নানা রঙে। খেলা হবে আবির, রং। কিন্তু অনেকেরই রাসায়নিক যুক্ত আবির ও রঙে ভয় পান। পাছে ত্বকে সংক্রমণ হয়। কারও আবার আবিরের রুক্ষ দানায় ত্বকের সমস্যা হয়। ফলে অনেকেই দোলের দিন নিজেকে সকলের আড়ালেই রাখেন। কিন্তু তারাও মুক্ত আকাশে বসন্তের দোল উৎসব উপভোগ করতে পারবেন নানা রঙের ভেষজ আবিরে। ত্বক খারাপ হওয়ার ভয় নেই এই আবিরে। বাড়িতে বসে মহিলারাই তৈরি করছেন এই আবির। নানা সবজি যেমন বিট, গাজর, পালংশাক, গাঁদাফুল, গোলাপের পাপড়ি, পলাশ ফুল থেকে তৈরি হচ্ছে এই ভেষজ আবির। ইউনিক ফাউন্ডেশনের পক্ষে শহরতলির আমবাড়ির কাছে মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন অর্পিতা সিৎহ রায়। এলাকার দুটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এই ভেষজ আবির তৈরি শেখানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে তৈরি আবির বাজারজাত ও বিক্রির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, গাঁদা ফুল,হলুদ, বিট, গোলাপ, পলাশ সহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করতে হয়। এই ধরণের আবির ব্যবহারে চামড়া, চোখ বা শরীরে কোনরকম ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না। ৮ থেকে ১০ জন করে মহিলা মিলে গড়ে তুলেছেন এই গোষ্ঠী। এই আবির স্থানীয় এলাকা তো বটেই, পৌঁছে যাবে ইসলামপুর, বিধাননগর, জলপাইগুড়ি, ও কোচবিহার সহ বিভিন্ন গ্রামে। ইউনিক ফাউন্ডেশন টিমের কর্নধার শক্তি পাল বলেন, ভেষজ আবিরের কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই৷ আমাদের আবিরের গুনগত মানও যথেষ্ট ভাল৷ ফলে আগে থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ডার আসতে শুরু করেছে। এবারও ১০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত প্যাকেটে করা হবে। সবচয়ে বড় কথা গ্রামের মহিলারা আবির তৈরি করে আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন।