নিউজ ডেস্ক, এইচ এন: ১৯ এপ্রিল: গা শিউরে ওঠার মতোই ঘটনা। লকডাউনেরর মাঝে এমন কাণ্ডে হতবাক পুলিশও। বুঝে উঠতে পারছেন না কি করে করলো এমন কাণ্ড। লকডাউনের সময় ৮ বছরের ভাগনেকে কেটে খেয়ে নিল মামা! রীতিমতো রান্না করে। এমনই অবাককিরে দেওয়ার মত অভিযোগ উঠেছে অরুণাচল প্রদেশে। এই ঘটনায় মামা–ভাগনে দু’জনই অসমের বাসিন্দা। পুলিশের কাছে মামা স্বীকারও করেছে নিজের অপরাধের কথা। শেষে পুলিশ এমন পাষণ্ড মামাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ শনিবার কিশোরের পরিবারকে খবর পাঠায়। অসমের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এই খবর। তারপরেই শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনা অরুণাচলের হলেও উভয়েরই বাড়ি অসমে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের শোনিতপুর জেলার গহপুরের বাসিন্দা টি–ট্রাইব সম্প্রদায়ের ধীরেন গৌড় জীবিকার সন্ধানে ছেলে সঞ্জীব (৮) ও শালা রামকুমারকে নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলেন অরুণাচল প্রদেশের নিরজুলিতে। লকডাউনের আগে গহপুরের কারিঝিল নেপালি গাঁওয়ে নিজের বাড়িতে এসে আর অরুণাচল ফিরতে পারেননি তিনি। মামার কাছেই ছিল তার ছেলে। পুলিশ সূত্রে তদন্তের পর খবর, বৃহস্পতিবার প্রথমে প্রেসার কুকার দিয়ে মাথায় মেরে ভাগনেকে খুন করে মামা। তারপরে ধারালো সবজি কাটার চাকু দিয়ে কাটে। এরপর ভাগনের মাংস রান্না করে খায় মামা রামকুমার গৌড়।
পুলিশের কাছে সে নিজেই তা কবুল করেছে। নিরজুলি থানার ওসি জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে, লকডাউনে হতাশায় ভুগছিল রামকুমার। এ ছাড়াও ঘটনার আগে সঞ্জীবের বাবার সঙ্গে টেলিফোনে তর্ক করারও খবর পেয়েছে পুলিশ। তবে সব দিকই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ও ঘটনায় ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করেছে। এদিকে অরুণাচল পুলিশের কাছ থেকেই খবর পৌঁছয় অসমের গহপুর থানায়। খবর পান সঞ্জীবের বাবা–মা। কিন্তু লকডাউনে তারা যেতে পারছেন না অরুণাচলে। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে।
ছবি: সংগৃহীত