রাজগঞ্জ, ১৮ এপ্রিল: ১০ দিনেই রান্নার গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ায় সন্দেহ হয় গ্রাহকের। সিলিন্ডারের মুখ খুলে উপুড় করতেই বের হল ৬ কেজি বালি-মাটি। শনিবার শিলিগুড়ির অদূরে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের কায়েতগছে গ্রামে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় প্রতারণা চক্র জড়িয়ে আছে বলে এলাকার মানুষ মনে করছেন। প্রশ্ন উঠছে বহুজনকে এভাবে ঠকানো হতে পারে। গ্যাসের বদলে এই বালি মাটি কারবার দেখে অবাক। কোথা থেকে এসব ভরা হয় তা এখন বড় প্রশ্ন।
জ্যোৎস্না রায় নামে ওই গ্রাহক বলেন, ১২ দিন আগে উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের গ্যাস নিয়েছি আমি। স্থানীয় কুকুরজান ইন্ডেন গ্রামীন বিতরক থেকে সিলিন্ডার দিয়েছে। শনিবার সিলিন্ডার ওজন করে দেখি খালি সিলিন্ডারের ওজন সর্বোচ্চ সাড়ে ১৫ কেজি হওয়ার কথা । কিন্তু আমার সিলিন্ডারের ওজন প্রায় ২১ কেজি দেখা যাচ্ছে। প্রথমে ভেবেছিলাম সিলিন্ডার মধ্যে গ্যাস রয়েছে। অনেক চেষ্টা করো কিন্তু গ্যাস পাইনি। সিলিন্ডারের মুখে পিন দিয়ে চেষ্টা করা হয় কিন্তু গ্যাস ছিলনা। শেষে ভয়ে ভয়ে সিদ্ধান্ত নেই সিলিন্ডারটি খোলার। কৌতূহল জাগে কি আছে ভিতরে তা দেখার।
সবার কাছে পরামর্শ নিয়ে একপ্রকার নিরাপদ হয়েই নিয়ে আসা হয় রেঞ্জ এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি। শেষে সিলিন্ডার প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় সিলিন্ডারের মুখ খুলতেই সব রহস্য ফাঁস। সিলিন্ডার ঝাঁকি দিতেই বের হতে থাকে বালি।প্রায় ৬ কেজি বালি সিলিন্ডার থেকে বেরিয়ে আসে। ঘটনার কথা স্বীকার করে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য হযরত মহম্মদ বলেন, বিষয়টি বিডিও কে জানানো হবে। আমরা অবাক হয়েছি এমন ঘটনায়। এভাবে কতজনের ক্ষেত্রেই না প্রতারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় আমরা বালি মাটি দিয়ে মুদিখানা বা অন্য দোকানে সামগ্রীর সঙ্গে মিশিয়ে প্রতারণা করতে দেখেছি। এবার গ্যাস সিলিন্ডারে ভাবাই যায় না।
কুকুরজান ইন্ডেন গ্রামীন বিতরক পুলক রায় বলেন, “আমরা শুধু সিলিন্ডার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেই। গ্যাস সিলিন্ডারের বালি কোথা থেকে এল তা আমি জানিনা। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
কিন্তু রহস্য থেকেই যাচ্ছে। তাহলে কোথায় ভরা হয় বালি মাটি? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন গ্রাহক আর সাধারণ মানুষেরা।