রাজস্থান থেকে ৭৮২ জন পড়ুয়াকে আনা হল শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে

শিলিগুড়ি, ১ মে: ‌অবশেষে উৎকন্ঠার অবসান। রাজস্থান থেকে শুক্রবার শিলিগুড়ি ফিরছে একঝাঁক পড়ুয়া। লকডাউনের জন্য আটকে পড়েছিল তারা। সব মিলিয়ে রাজ্যের প্রায় ২৫০০ জন পড়ুয়া ছিল কোটায়। ইতিমধ্যে তাদেরকে নিয়ে কয়েকটি বাস রওনা হয়েছে। এই পড়ুয়াদের মধ্যে ৭৮২ জন পড়ুয়া রয়েছে উত্তরবঙ্গের। তাদেরকে আনা হচ্ছে ২৭টি বাসে করে। এসি বাসগুলি এদিন শিলিগুড়ির পথে ছিল। আজ শুক্রবারই এই বাসগুলি শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে আসবে। এখান থেকেই তাদেরকে ঘরে পৌঁছে দেবে রাজ্যে। সেজন্য মজুত আছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার একাধিক বাস। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, আমার কাছেও অনেক অভিভাবক এসেছিলেন। শেষে রাজ্য উদ্যোগ নিয়েছে। এতগুলি রাজ্যে পার করে আসায় অনুমতি নিতে হয়েছে। কেউ ফোন করে বলে দিলেই হয়ে যায় না। কেন্দ্র ও রাজ্যের সঙ্গে কথা হয়। অনেক বড় সিদ্ধান্ত এটা। আশাকরি এবার সবাই সুস্থ মতোই বাড়ি ফিরে যাবে। অভিভাবকদের উৎকন্ঠার আর কোনও কারণ নেই।

রাজস্থানের কোটায় আটকে পড়া ছাত্রছাত্রীরা ঘরে ফেরার জন্য আবেদন করে এসেছে। এরাজ্যে তাদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেইমতো পড়ুয়াদের নিয়ে কোটা থেকে বাস ছাড়ে। জানাগেছে, রাজস্থানের কোটা থেকে ২৫০০-এর কিছু বেশি পড়ুয়াকে নিয়এ ১০১টি বাস ছাড়ে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কোচিংয়ের জন্য বাংলার বহু ছাত্রাছাত্রী কোটার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশুনা করে। লকডাউনের জন্য তাঁরা সেখানে আটকে পড়ে। এদিকে রাজস্থানে করোনায় আক্রান্ত বাড়তে থাকে। সেখানে বন্ধ সমস্ত প্রতিষ্ঠান। তাই এক মাস থাকার পর বাড়ি ফেরার জন্য উদগ্রিব হয়ে ওঠে।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে তিনটি জোনে বাসগুলি পৌঁছবে। কলকাতা, আসানসোল ও শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি থেকে আজ সকাল ৭টার পর এলাকাভিত্তিক উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার বাসে তাদের তোলা হবে। বাসে ওঠার আগেই তাদের প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। কলকাতাতেও পরীক্ষা করা হবে। এরপর ঘরে ঘিরে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।  উল্লখ্য এত পড়ুয়াকে আনতে গররাজি ছিল রাজ্য। শেষে নানা জায়গা থেকে দাবি উঠতে থাকে। সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীও উদ্যোগ নেন। শুধু তাই নয় বিজেপি সাংসদ যোগাযোগ করেন শেষে সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য।

ছবি: প্রতীকী