Home বিদেশ-প্রবাস রমজান মাস শুরু হলেও কে বা কারা রোজা থাকতে পারবে না

রমজান মাস শুরু হলেও কে বা কারা রোজা থাকতে পারবে না

এইচ. এন. ডেস্ক: রমজান মাসে ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাবার গ্রহণ, পান করা এবং যৌনসঙ্গম করার অনুমতি নেই। রোজা রাখাকে প্রগাঢ় ব্যক্তিগত ইবাদতের একটি পন্থা বলে গণ্য করা হয়। এই মাসে মুসলিমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য প্রার্থনা করে। রমজান চলাকালীন মুসলমানরা সহিংসতা, রাগ, ঈর্ষা, লোভ, লালসা, ব্যঙ্গাত্মক প্রতিকৃতি, গালগল্প ইত্যাদি করা হতে বিরত থেকে ইসলামের শিক্ষা অনুসরণের প্রতি আরও বেশি প্রচেষ্টা। পাশাপাশি পরস্পরের সহিত স্বাভাবিকের চেয়ে উত্তমরূপে পেশ হতে বলা হয়েছে। সমস্ত অশ্লীল এবং ধর্মবিরুদ্ধ উত্তেজনা এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা চিন্তা এবং কর্ম ঊভয়ের বিশুদ্ধতা জরুরি।
কিন্তু রমজানের সময় উপবাস পালন করা বিশেষ কিছু লোকের জন্য অত্যাবশ্যক নয়। যাদের উপোস থাকা অত্যধিক সমস্যাযুক্ত। যেমন যারা বৃদ্ধ ও শিশু। চিকিৎসাধীন,বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস এবং স্তন্যদানকারী বা গর্ভবতীদের প্রতি সাধারণত রোজা পালন অত্যাবশ্যক নয়। হাদিস অনুযায়ী, ঋতুমতী নারীর জন্য রোজা রাখা নিষিদ্ধ। যদি বয়ঃসন্ধিকাল বিলম্বিত হয়, তবে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর পুরুষ এবং মহিলার জন্য রোজা রাখা ফরজ হয়ে যায়। অন্যান্য ব্যক্তি যাদের পক্ষে সাধারণত রোজা না রাখার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করা হয়, তারা হলেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া এবং ভ্রমণকারীরা যারা গৃহ থেকে পাঁচ দিনেরও কম সময় কাটাতে চান।
যদি রোজা ভাঙ্গার পরিস্থিতি সাময়িক হয় তবে সে ব্যক্তিকে রমজান মাস শেষ হওয়ার পর এবং পরবর্তী রমজান মাস আসার আগেই বাদ যাওয়া রোজাসমূহ পূরণ করতে হবে। উক্ত শর্ত বা অবস্থাসমূহ দীর্ঘকালীন সময়ের জন্য স্থায়ী হলে, সেই ব্যক্তিকে প্রত্যেক বাদ যাওয়া রোজার জন্য একজন অভাবী ব্যক্তিকে সমসংখ্যক দিন খাওয়ানোর মাধ্যমে এর ক্ষতিপূরণ দিতে পারে। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করলে সে ব্যক্তিকে পরবর্তীতে রোজা রেখে তা পুষিয়ে দিতে হবে।

Courtesy – Wikipedia