রাজগঞ্জ, ৪ এপ্রিল: খাবার দিতে গিয়ে শিশুর সামনে বসে পড়লেন বনাধিকারিক। শনিবার এভাবেই জঙ্গল এলাকার মানুষের সঙ্গে মিশে গেলেন বেলাকবার রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত। বরাবরই মানুষের আপদে বিপদে ছুটে যান তিনি। কারো চিকিৎসার খরচ জোগাতে পারছে না। জানতে পারলে আর্থিকভাবে সাহায্য শুধু নয় চিকিৎসা করে সুস্থ করে বাড়ি ফেরানোর পর্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে নেন। কারো আর্থিক সংকটে বিয়ে দিতে পারছে না। পুরো বিয়ের আয়োজন করে দেন সঞ্জয়বাবু। বারবার অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন এই রেঞ্জ অফিসার। কেউ পড়াশুনা কিংবা কাজের সমস্যা কিংবা লোন নিয়ে শোধ করতে পারছেন না অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত গরিবদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে দেখা যায় সঞ্জয়বাবুকে। লকডাউনে অসহায় বহু পরিবার এখন আরও অসহায়। তাদের বাড়িতে ঠিকমতো খাবার জোটে না। এমন অসহায় পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন তিনি। যেখানে কেউ যায় না। খোঁজ রাখে না। সেই এলাকায় ঘুরে ঘুরে খাবার বিতরণ করেন তিনি। রীতিমতো মাটির মানুষের মতোই হয়ে তিনি পৌঁছে যান শিশু থেকে বয়স্কদের কাছে।
এদিন বেলাকোবায় জঙ্গল এলাকায় খাবার বিলি করতে গেলে তাকে দেখা গেল শিশুদের সামনে প্রায় হাঁটু গেড়ে বসে পড়ছেন। এটাই তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গি। বার বার দেখা গেছে ওমন। দূরে ঠেলে দিয়ে নয়, কাছে থেকে মানুষের পাশে থেকে সাহায্য করায় তার বড় গুণ। এবার নিজের জমানো টাকা ব্যাংক থেকে তুলে তিনি খাবারের ব্যবস্থা করলেন। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তার এমন কর্মসূচি চলবে। দরকার পরলে তিনি টাকা হাওলাত করে নিয়ে এভাবে এলাকার সমস্ত পরিবারকে খাবার পৌঁছে দেবেন। এদিন তিনি মেনুতে রাখেন খিচুড়ি, ডিম সেদ্ধ বাঁধা কপির ঘন্ট। সঞ্জয়বাবু বলেন, এরা খুব খুবই গরিব। ভগবান ওনাদের কষ্ট দূর করুক এটাই আমার প্রার্থনা।
©গিরিশ মজুমদার