শিলিগুড়ি, ২০ মার্চ: নদী দখল রুখতে আর পরিযায়ী পাখিদের রক্ষায় লাগানো হয়েছিল গাছ। সামাজিক বনসৃজনের মাধ্যমে কৃত্রিম জঙ্গল তৈরির উদ্যোগ নেয় বনবিভাগ। সেখানে এবার পরিকল্পিতভাবে দুষ্কৃতীরা লাগিয়ে দিচ্ছে আগুন। শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ির মহানন্দা নদীর বিস্তীর্ণ জলাধারের সম্মুখে নদীর চরে কয়েকদিন ধরে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। সেই আগুন নেভাতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে প্রশাসনকে। দমকল কর্মী কিংবা প্রশাসনের লোককে সেখানে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে। যে কারণে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জঙ্গল। সেইসঙ্গে বিপন্ন হচ্ছে পরিযায়ী পাখিদের আবাসস্থল। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পরিবেশপ্রেমিরাও। বনবিভাগের পক্ষ থেকেই এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
ফুলবাড়ি মহানন্দা ব্যারেজের মুখে পরিযায়ী পাখিদের আবাসস্থল আর জঙ্গলে ইতিমধ্যে তিন বার আগুন লাগানো হয়েছে। তাতে বহু ছোট গাছ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রথমে আগুন লাগানো হয় জঙ্গলের ভিতরে ঝোপঝাড় এবং আগাছায়। সেই আগাছার আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে বারবার প্রশাসন থেকে করা বার্তা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘোষপুকুর বনবিভাগের পক্ষ থেকেও বনকর্মীরা সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছেন।
বনবিভাগের ঘোষ পুকুরের রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া বলেন, আমরা বারবার এখানে এসে সচেতনতা করছি। পাখিদের রক্ষার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। সেইসঙ্গে বনসৃজনের মাধ্যমে সবুজ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছি। অথচ দুষ্কৃতীরা বারবার সেখানে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে। কদিন থেকেই নদীর চরে ঝোপগুলিতে আগুন লাগানোয় পরিযায়ী পাখিরা ছুটাছুটি শুরু করে দিয়েছে। পাখিদের চিৎকারে ছুটে আসেন এলাকার মানুষ। তারাও প্রতিবাদ জানান। অপটোপিক, হিমালায়ন নেচার এন্ড এডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেও প্রশাসনকে কঠোর ভাবে ব্যবস্থা নিতে দাবি করা হয়েছে। এতে ব্যারেজে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমে যেতে পারে। বনদপ্তর তদন্ত শুরু করেছে।