বাজি ভরা আনারস খাইয়ে হত্যা করা হল মা হাতিকে

এইচ.এন.ডেস্ক: মানুষ যে এত নৃশংস হতে পারে তা দেখে অবাক হবেন সকলেই। বাজি ভরা আনারস খাইয়ে হত্যা করা হল মা হাতিকে। অসহ্য যন্ত্রণায় প্রায় এক মাস না খেতে পেয়ে মারা গেল গর্ভবতী হাতিটি। যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে নদীর জলে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে কেরলে। উঠে এসেছে কেরলের মল্লপুরমে ওই হাতিটির যন্ত্রণার দুঃসহ কাহিনি। মানুষের এই হিংস্রতা লজ্জিত করছে গোটা মানবজাতিকে।
জানা গিয়েছে, লকডাউনে ফাঁকা রাস্তা পেয়ে হাতিটি বন থেকে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে আসে। কিন্তু মানুষের কোনো ক্ষতি করেনি। কিন্তু কে বা কারা বাজি ভরা আনারস খেতে দেয়। মানুষের প্রতি বিশ্বাস এবং পেটের সন্তানকে বাঁচানোর তাগিদে ওই আনারস খেয়ে নেয়। এরপরই হঠাত তার মুখে বিস্ফোরণ ঘটে। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় মুখ ও জিভ। অসহ্য যন্ত্রণা এবং খিদে নিয়ে সারা গ্রাম হেঁটে বেড়ায়। হয়তো মানুষের সাহায্য চাইছিল। কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দেওয়ায় এলাকার ভেলিয়ার নদীর জলে নেমে সুর সহম্যুক জলে ডুবিয়ে রাখে, যদি কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। এদিকে খিদে থাকলেও মুখের যন্ত্রনায় কিছু খেতে পারছিল না। এভাবে জলে দাঁড়িয়ে থেকেই অবশেষে মারা গেল হাতিটি।
বনদপ্তরের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্তের পর দেখতে পায় পেটের মধ্যেই শাবকটি মারা গিয়েছে। বাজি ফেটে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে মুখ, জিভ ও পেটের মধ্যে। মৃত্যুর আগে কি যে অসহ্য যন্ত্রণা সইতে হয়েছে তা ভেবে চোখে জল আসে বনকর্মীদের। মানুষ কি এতই নিষ্ঠুর ? কেরলের নৃশংস হাতি-হত্যার ঘটনা মানব জাতির কাছে একটা বড় প্রশ্ন রেখে গেল।