নিউজ ডেস্ক, ৬ এপ্রিল: সব প্রশ্ন যেন উলটপালট হয়ে যাচ্ছে। উত্তর মিলছে না। আশঙ্কা যেন বাড়ছেই। এবার করোনা হানা দিল চিড়িয়াখানায়। প্রাণীর দেহে মিলল করোনা ভাইরাস। এর আগে শোনাগেছে, প্রাণীর শরীরে নেই। এবার কিন্তু বাঘের শরীরে। রীতিমতো করোনা সংক্রমণ। পরীক্ষার পর জানাগেছে, এই প্রথম কোনও বাঘের করোনা-আক্রান্ত হল।
জানাগেছে, ৪ বছর বয়সী ওই মালয়-বাঘিনী নাদিয়া আর আরও ছ’টি বাঘ আর সিংহ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপরেই মনে করা হয়, তাদের দেখাশোনা করে এমন এক চিড়ায়াখানার কর্মীর থেকে সংক্রামিত হয়েছে। যদিও ওই ব্যক্তিরও সেই সময়ে কোনও উপসর্গ ছিল না।
করোনার জেরে সব বিপযস্ত। জঙ্গল ঘোরা বন্ধ। পাশাপাশি চিড়িয়াখানা বন্ধ রয়েছে। মার্চের ১৬ তারিখ থেকে নিউইয়র্কের চিড়ায়াখানা বন্ধ। সেখানে ২৭ তারিখে নাদিয়াদের শরীরে রোগের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। নাদিয়া আর তার বোন আজুল সমেত বাকি বাঘ সিংহদের শুকনো কাশি আর হালকা শ্বাস কষ্ট রয়েছে। জানাগেছে, তাদের খিদেও কমে গেছে।
এদিকে এই ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিল, অন্য প্রাণীরা করোনার সংক্রমিত হতে পারে। তবে কতটা কী ভাবে সংক্রামিত হতে পারে তা নিয়ে গবেষণা চলছে। মার্কিন কৃষি দফতর তাদের ভেট ল্যাবে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছে যে ওই বাঘ নাদিয়া করোনা-আক্রান্ত। এবার যার থেকে ধারনা করা যেতে পারে যে, প্রাণীদের থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। অন্তত মার্কিন মুলুকে তারা করোনার কারণ হতে পারে।উল্লেখ্য গত দু মাসে গুটি কয়েক পোষা কুকুর বেড়ালের সংক্রামিত হওয়ার খবর জানা গিয়েছিল। যে বাড়িতে তারা থাকে সেই বাড়ির লোকজনের থেকে সংক্রামিত হয়েছিল তারা। কিন্তু হংকং এর প্রাণী-চর্চা কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছিল, পোষা কুকুর বেড়ালের থেকে মানুষের দেহে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই। এদিকে পৃথিবীতে করোনায় মানুষের হার কমছে না। আমেরিকায় উদ্বেগজনক। তার উপর বাঘের শরীরে ছড়ালে নতুন আশঙ্কা থেকেই যায়।