বাগডোগরা বিমান বন্দর থেকে বেসরকারি ট্যাক্সি পরিষেবা বন্ধ

শিলিগুড়ি, ২ ফেব্রুয়ারি: দাবি মেটেনি ট্যাক্সি চালকদের। তাই শেষ পর্যন্ত বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করে দিলেন ট্যাক্সি মালিক ও চালকেরা। মঙ্গলবার থেকেই তারা বিমানবন্দরের বাইরে বিক্ষোভ মিছিল আর অবসর সময় কাটালেন। আর এদিকে শত শত যাত্রীর জন্য সকাল থেকেই প্রস্তুত ছিল প্রশাসন। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা চালানো হয়। বিমানবন্দর থেকে যাত্রী ও পর্যটকরা বের হতেই সরকারি বাসে করে তাদের শহরে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া প্রশাসন ও সরকারি আধিকারিক কিংবা বিশেষ অতিথিদের জন্য কিছু গাড়ির ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। বাগডোগরা থেকে ১৩০০ ট্যাক্সি চলাচল করে। তবে এত সংখ্যক বেসরকারি ট্যাক্সির পরিষেবা সরকারি উদ্যোগে পুরোপুরি সামাল দেওয়া যায়নি। তাই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। তাদের অটো, টোটো খুঁজতে ঘুরতে হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে জাতীয় সড়ক পর্যন্ত অনেকে হেঁটে এসেছেন। যদিও পর্যটন দপ্তর ও রাজ্য প্রশাসন দূরবর্তি পর্যটকদের গন্তব্যে পৌঁেছ দেওয়ার জন্য বাসে করে তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস কিংবা সিকিম জাতীয় পরিবহণের টার্মিনাসে নিয়ে আসে। তবে অভিযোগ উঠেছে, শহরে ঢুকে গাড়ি ভাড়া নিয়ে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়েছে। 

এর আগেই বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারী দিয়েছিল ট্যাক্সি চালকেরা। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ৭টি সংগঠন। যদিও এদিন নিজেদের গাড়ির চাকা বন্ধ রাখার এই আন্দোলনে সামিল হয়নি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে চলা ট্যাক্সি চালকেরা। শুধু বাগডোগরা ট্যাক্সি ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে এদিন বাকি সংগঠনগুলি পরিষেবা বন্ধ রাখে। তাদের উদ্যোগেই এদিন বিমানবন্দরের বাইরে বিক্ষো দেখানো হয়। তবে তারা কোনও যাত্রীকে বাঁধা দেননি। বাইরের গাড়িকে আটকানো হয়নি। সংগঠনের সভাপতি সিরাজ ভৌমিক বলেন, ‘‌লকডাউনে রাস্তায় গাড়ি নামাতে পারিনি। এরপরও ‘‌রোড-‌ট্যাক্স’ দাবি করা হচ্ছে। জরিমানা করা হচ্ছে। বিমা থেকে বাকি কোনও কাগজপত্র নবীকরণ হচ্ছে না। আমরা এদিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলাম। চাই এই সমস্যা মেটানো হোক। যতদিন না মিটবে শান্তিপূর্ণভাবে এই আন্দোলন চলবে। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এই সমস্যা মেটাতে এর আগে আলোচনায় বসেন। দাবি মেটানোর আশ্বাস দেন।