বাইরে বাঁশ, ভেতরে ৫০ লক্ষ টাকার বার্মা টিককাঠ

শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি,১২ মার্চ: নতুন লরিতে উপর থেকে ছোট করে বাঁশ কেটে সাজানো। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই ভেতরে কী রয়েছে। কিন্তু বন কর্মীদের চোখকে ফাঁকি দেওয়া যায়নি। সূত্র মারফত পাচারের কথা জানতে পারেন বেলাকোবার রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত। এরপর তার নেতৃত্বে ওত পেতে থাকেন বনকর্মীরা। শিলিগুড়ি–জলপাইগুড়ি সড়কের পানিকৌড়ি এলাকায় শেষে ধরা হয় ১৬ চাকার লরিটিকে। সাজানো বাঁশের আড়ালে এভাবে বার্মা টিক কাঠ পাচার ধরে ফেলা হয়। লড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বার্মা টিক কাঠ। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় ৩ জনকে। তাদের মধ্যে একজনরে বাড়ি অসমে ও বাকি দুজনের বাড়ি উত্তর প্রদেশে।
বনকর্মীরা জানতে পেরেছে, এই কাঠ অসম থেকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে রবিবার সকালে বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কের রাজগঞ্জের পানিকৌড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানের সময় সন্দেহবশত একটি বাঁশ বোঝাই লরি আটক করা হয়। বনকর্মীদের সন্দেহ হয়, নতুন লরিতে কলকাতায় কেন বাঁশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতদূরে বাঁশ নিয়ে যাওয়াতে ভাড়াতেই পোষাতে পারবে না। তাই শেষে ওই লরিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখা হয়। এরপরই লরিটি আটক করে নিয়ে আসা সহ মান্তাদারিতে। সেখানে এসে লরিটি খালাস করা হয়। তখনই দেখা যায় বাঁশের আড়ালে লগ করে সাজানো রয়েছে বহু বার্মা টিক কাঠ। যার দাম অন্তত ৫০ লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা হল প্রেম সিং, চাহাজুল ইসলাম ও ইমরান। তাদের মধ্যে চাহাজুল অসম ও বাকি দুজন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। এর আগে নানা উপায়ে কখনও তুষ, কাঁচের বোতল, কয়লা, আদার আড়ালে দামি সমস্ত কাঠ পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে। এবার বাঁশের আড়ালে ধরা পড়ল। ধৃতরা জানিয়েছে, গুয়াহাটি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বার্মাটিক কাঠগুলি। ধৃতদের সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে।